কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি সামলাতে এবার কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) স্বাস্থ্য বিভাগ কন্ট্রোল রুম (Control Room) খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। শনিবার অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি থেকে এই কন্ট্রোলরুম কাজ করা শুরু করবে। কন্ট্রোল রুমের জন্য যে বিশেষ নম্বরটি চালু করা হয়েছে, সেটি হল ২২৮৬ -১২৩৮। এই নম্বরে ফোন করলেই কলকাতা পুরনিগম এলাকার বাসিন্দারা পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুরনিগমের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ১৫ জানুয়ারি থেকে কলকাতা এলাকায় করোনা আক্রান্তদের কাছে পুরনিগমের তরফে একটি করে এসএমএস যাবে।
ওই এসএমএসে কলকাতা পুরনিগমের তরফে করোনা রোগীদের জন্য কী কী পরিষেবা দিচ্ছে, তার একটি বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। সঙ্গে থাকবে কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতা পুরনিগমের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর। এর পাশাপাশি সেফ হোমে ভর্তির ব্যাপারে কাউকে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য কাকে ফোন করলে সেফহোমে ভর্তির ব্যবস্থা করা যাবে… সে বিষয়টিও এসএমএসে উল্লেখ করা থাকবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই কন্ট্রোল রুম চালু করার বিষয়ে। কলকাতা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হচ্ছে। কলকাতা পুর এলাকার যে কোনও বাসিন্দা, এই নম্বরে ফোন করে কলকাতা পুরনিগমের শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
এর পাশাপাশি, আরও জানানো হয়েছে, কলকাতায় বর্তমানে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা রয়েছে ৪৪ টি। এর মধ্যে ৩ নম্বর বরো এলাকায় ৪ টি, ৪ নম্বর বরো এলাকায় ৪ টি, ৭ নম্বর বরোতে ৪ টি, ৯ নম্বর বরোতে ২ টি, ১০ নম্বর বরো এলাকায় ১০ টি, ১২ নম্বর বরো এলাকায় ১১ টি, ১৪ নম্বর বরো এলাকায় ৩ টি, ১৬ নম্বর বরো এলাকায় ৫ টি এবং ৮ নম্বর বরোতে একটি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে।
এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগজনক। শুক্রবারের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি। শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন সাত জন। শহরে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে প্রায় তিন হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরনিগমের তরফে যে কন্ট্রোল রুম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত বলে মত চিকিৎসক মহলের।