West Bengal Govt writes to NICED: গঙ্গাসাগরের ধাক্কায় বাড়তে পারে নমুনা পরীক্ষা, অতিরিক্ত ৮০০ নমুনা পাঠাতে চেয়ে নাইসেডে চিঠি রাজ্যের
West Bengal COVID 19 Cases: নাইসেডে রয়েছে প্রতিদিন তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ‘কোবাস ৮৮০০’। দেড় বছর ধরে এই যন্ত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নাগালে থাকলেও রাজ্য পর্যাপ্ত নমুনা না পাঠানোয় কোনও দিনই তা পুরো মাত্রায় ব্যবহার করা যায়নি।
সৌ র ভ দ ত্ত
দেরিতে বোধদয়! গঙ্গাসাগর মেলার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ সংলগ্ন এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে, তাঁদের টেস্ট কোথায় হবে! এই প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় গবেষণা আইসিএমআর-নাইসেডের (ICMR-NICED) দ্বারস্থ হল রাজ্য। গঙ্গাসাগর (Gangasagar Mela) পর্বে অতিরিক্ত ৮০০ নমুনা পাঠানো হবে বলে নাইসেডকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। নাইসেডে রয়েছে প্রতিদিন তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ‘কোবাস ৮৮০০’। দেড় বছর ধরে এই যন্ত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নাগালে থাকলেও রাজ্য পর্যাপ্ত নমুনা না পাঠানোয় কোনও দিনই তা পুরো মাত্রায় ব্যবহার করা যায়নি।
অতিরিক্ত ৮০০ নমুনা পাঠাতে চায় রাজ্য
নাইসেড সূত্রের খবর, দিনে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম যন্ত্রের জন্য সর্বোচ্চ ৯০০ নমুনা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তাও গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পরে। নাহলে, আড়াইশো থেকে পাঁচশোর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার নমুনা বরাদ্দ। বস্তুত, কম নমুনা পাওয়ায় নভেম্বরে ৪৫ হাজার কিট ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশায় পাঠিয়ে দেয় নাইসেড। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল কিটের মেয়াদ। নাইসেড সূত্রে খবর, রাজ্য কম নমুনা পাঠানোয় কিটগুলি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। আইসিএমআর’কে সে কথা জানানো হলে তারা বাংলার ভাগের কিট ঝাড়খণ্ড-ওড়িশায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে গঙ্গাসাগর স্নানের জেরে অতিরিক্ত ৮০০ নমুনা পাঠানোর সিদ্ধান্তকে দেরিতে বোধহয় বলছে বঙ্গ চিকিৎসক মহল। নাইসেডের পাশাপাশি এসএসকেএম, কলকাতা মেডিকেল কলেজে ও গঙ্গাসাগর মেলার জের পোহাতে অতিরিক্ত নমুনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক
এদিকে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখনও বেশ উদ্বেগজনক অবস্থাতেই রয়েছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবারের সংক্রমণ সামান্য কমেছে ঠিকই, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এখনও বিশ হাজারের উপর দিয়েই যাচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেনিট অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ৬৪৫।
রাজ্যে যখন করোনার সংক্রমণে এত বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে, তখন গঙ্গাসাগর মেলা করা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজ্যের চিকিৎসক মহল এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ, বার বার রাজ্যকে সতর্ক করেছে। তবে হাইকোর্ট অবশ্য করোনা বিধি মেনে রাজ্যকে মেলার আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে শুক্রবার মকর সংক্রান্তির দিনে গঙ্গাসাগর মানুষের ভিড়ে থিক থিক করার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য অবশ্য, পরিস্থিতি ঠিকঠাকই। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা শুক্রবার গঙ্গাসাগরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলছেন, ভিড় কম। তবে সেই কম ভিড় ঠিক কতটা, তা অবশ্য বলেননি মন্ত্রী।
আরও পড়ুন : West Bengal BJP : ব্যর্থতা ঢাকতেই কল্যাণ-অভিষেক বিতর্ক? তৃণমূলের ‘নাটকে’র তত্ত্ব উস্কে দিল বিজেপি