Nirapad Sardar: ‘বিধানসভায় জমি লুঠের কথা বলতেই ওরা…’ নিরাপদ সর্দারের গলায় সাংঘাতিক অভিযোগ

Sayanta Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 26, 2024 | 8:09 PM

Sandeshkhali: সোমবার নিরাপদ সর্দার দাবি করেন, "আমি সব বিধানসভায় জানিয়েছি। ১০০ বার বিধানসভায় জানিয়েছি। কোনও উত্তর পাইনি। উত্তর দেওয়ার সদিচ্ছা সরকারের ছিল না। যতবার বিধানসভায় গিয়েছি বলেছি, জবাব পাইনি। জমি লুঠ হচ্ছে সব জানিয়েছি বিধানসভায়। অথচ জমি লুঠ করেছে যারা, তারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমাদের জেলে রেখে দিয়েছে।"

Nirapad Sardar: বিধানসভায় জমি লুঠের কথা বলতেই ওরা... নিরাপদ সর্দারের গলায় সাংঘাতিক অভিযোগ
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: এবার সন্দেশখালির জমি কাড়া নিয়ে বোমা ফাটালেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। সোমবার আদালতে তোলা হয় তাঁকে। বসিরহাট আদালতের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নিরাপদ জানান, বিধায়ক থাকাকালীন বারবার বিধানসভায় তিনি এই জমিলুঠ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়। যদিও নিরাপদ সর্দারের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, রোজ সিপিএম নেতারা তৃণমূলের বিষোদগার করতে পার্টি অফিসে বসে পড়েন। অথচ এত বড় ঘটনা, কেউ একটা শব্দ করতেই পারলেন না?

রবিবার মহেশতলা থেকে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ২০১৬ সাল অবধি সন্দেশখালি বিধানসভা সিপিএমের ছিল। বিধায়কও তাদেরই ছিলেন। সে সময় কেন নিরাপদ সর্দাররা প্রকাশ্যে কিছু বলেননি? এমনকী অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, “নিরাপদ সর্দার, বিকাশ সিংরা তো সন্দেশখালিরই বাসিন্দা। তারা কেন চারটে সংবাদমাধ্যম ডেকে বা একটা চিঠি করে জানাননি?”

সোমবার নিরাপদ সর্দার দাবি করেন, “আমি সব বিধানসভায় জানিয়েছি। ১০০ বার বিধানসভায় জানিয়েছি। কোনও উত্তর পাইনি। উত্তর দেওয়ার সদিচ্ছা সরকারের ছিল না। যতবার বিধানসভায় গিয়েছি বলেছি, জবাব পাইনি। জমি লুঠ হচ্ছে সব জানিয়েছি বিধানসভায়। অথচ জমি লুঠ করেছে যারা, তারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমাদের জেলে রেখে দিয়েছে।”

যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যদি সত্যি এত বড় ঘটনা ঘটে থাকে, যদি ওনার সত্যি অভিযোগ থেকে থাকে নিরাপদ সর্দার সাংবাদিক বৈঠক করলেন না কেন? রোজ তো সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিমরা আলিমুদ্দিনে বসে পড়েন। হঠাৎ এখন বেছে বেছে বিধানসভায় তখন আমি বলতে পারিনির মতো কথা বলে লাভ কী? আপনি পার্টি অফিসে বসে বলেননি কেন?”

অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, “বিধানসভায় কলিং অ্যাটেনশন বা দৃষ্টি আকর্ষনের প্রস্তাব তো শুধু দাঁড়িয়েই বলা যায় না, লিখিতও করা যায়। লিখিত কোনও ডকুমেন্ট কি প্রাক্তন বিধায়ক আমাদের দেখাতে পারবেন? আমি নিশ্চিত এরকম কোনও দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব বিধায়কের কাছ থেকে আসেনি।”

Next Article