AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Md Selim: তৃণমূলকে না হারালে বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয়, লিখলেন সেলিম; ‘ভোট কাটুয়া’ খোঁচা কুণালের

CPIM: মহম্মদ সেলিমের স্পষ্ট বক্তব্য, 'দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব অবস্থা নিয়ে ভাবিয়ে তুলতে হবে। অন্যান্য বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির সবার নিজের নিজের রাজনীতি থাকতে পারে। তাই আমরা বলেছি সর্বভারতীয় কোনও আসন সমঝোতার প্রশ্ন নেই। কারণ তা বাস্তব সম্মত নয়।'

Md Selim: তৃণমূলকে না হারালে বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয়, লিখলেন সেলিম;  'ভোট কাটুয়া' খোঁচা কুণালের
সিপিএমের মুখপত্রের শারদসংখ্যায় মহম্মদ সেলিমের কলম। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2023 | 9:45 PM
Share

কলকাতা: তৃণমূলকে বিজেপির ‘পোটেনশিয়াল অ্যালাই’ বলে কটাক্ষ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। সিপিএমের মুখপত্রের পুজো সংখ্যায় কলম ধরেছেন সেলিম। ‘বিজেপি বিরোধী ঐক্য, রাজ্যভিত্তিক বৈচিত্র্য স্বীকার করেই হবে’, এই শিরোনামে সেলিমের প্রতিবেদন। সেখানে প্রতি ছত্রে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন তিনি। সেলিম লিখেছেন, ‘তৃণমূলকে হারাতে না পারলে বিজেপিকে রোখা যাবে না। এটাই পশ্চিমবঙ্গের বাস্তবতা।’ পাল্টা কুণাল ঘোষ সিপিএমকে বিজেপির বি টিম বলে কটাক্ষ করেন। ‘ভোট কাটুয়া সিপিএম’, বলেন কুণাল। তাঁর ব্যাখ্যা, “কর্ণাটকে ভোট কাটতে গিয়েছিল। সেখানে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও প্রার্থী দেয়। জমানত জব্দ হয়েছে। এখানেও ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে।”

২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। তার আগে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল সংঘবদ্ধ হয়ে তৈরি করেছে এনডিএ বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ (I.N.D.I.A)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরিরা এক মঞ্চে এই জোটে। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে যতই বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল একমঞ্চে আসুক না কেন, বঙ্গ রাজনীতিতে ঝামেলা কিন্তু লেগেই রয়েছে। কখনও অধীর চৌধুরী কখনও মহম্মদ সেলিম, নাম ধরে ধরে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেন। সিপিএমের মুখপত্রে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত। এবার হাতিয়ার দলীয় মুখপত্রের শারদসংখ্যা। সেখানেও ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম মুখ তৃণমূলকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।

মহম্মদ সেলিমের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব অবস্থা নিয়ে ভাবিয়ে তুলতে হবে। অন্যান্য বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির সবার নিজের নিজের রাজনীতি থাকতে পারে। তাই আমরা বলেছি সর্বভারতীয় কোনও আসন সমঝোতার প্রশ্ন নেই। কারণ তা বাস্তব সম্মত নয়।’

যদিও সেলিমের এই লেখা নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মহম্মদ সেলিম লোককে ভুলিয়ে দেওয়ার মিথ্যা চেষ্টা করছেন। এ চেষ্টা ব্যর্থ হবে। কারণ, রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ১৯৮৮ সালের জুলাই মাসে শহিদ মিনার ময়দানে একটি কংগ্রেস বিরোধী মিটিং হয়। তখন তৃণমূলের জন্ম হয়নি। সেই মিটিংয়ে ভিপি সিংকে সামনে রেখে অটলবিহারী বাজপেয়ি ও জ্যোতি বসু হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়েছিলেন। অর্থাৎ বাম-বিজেপি একসঙ্গে। এর আগে বিজেপির সাংসদের সংখ্যা ছিল ২। পরে তা বেড়ে হয় ৮৪। বিজেপির ২ থেকে ৮৪ বামেরা অক্সিজেন দিয়ে বাড়িয়েছে। মহম্মদ সেলিম কি ভাবছেন দেশের লোক সেগুলো ভুলে গিয়েছে নাকি মনে করিয়ে দেওয়ার লোক নেই?”