Minakshi Mukherjee: ভুলে গেলেন মীনাক্ষী, স্বীকারও করলেন, সেলিম বললেন মোদী-মমতা পারবে?
Minakshi Mukherjee: এদিকে মীনাক্ষীর পরেই স্টেজে উঠলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ওঠামাত্রই দক্ষিণপন্থা আর বামপন্থার তফাৎ বোঝাতে গিয়ে চড়া আক্রমণ শানালেন মোদী-মমতাতে। ব্যাট ধরলেন মীনাক্ষীর হয়ে। ভুল ধরেই দিলেন শিক্ষা।
কলকাতা: অপেক্ষা চলছিল। সকলের চোখেমুখেই যেন অপেক্ষার ছাপ। কখন আসবেন ক্যাপ্টেন? প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছিল গোটা ব্রিগেড জুড়েই। ঠিক দুপুর হতে না হতেই এলেন তিনি। দলের কর্মীর বাইকে চড়ে দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে সোজা চলে আসেন ব্রিগেডে। মীনাক্ষী ঢুকতে না ঢুকতেই বাম ব্রিগেড যেন নতুন অক্সিজেনে আরও লাল হয়ে উঠল। মঞ্চে উঠতেই মঞ্চের চারদিক থেকে ‘লাল সেলাম’ দিয়ে কুর্নিশও জানালেন দলের কর্মীরা। ওঠামাত্রই সোজাসাপটা দক্ষিণপন্থীদের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মমতার বিরুদ্ধে ছুড়লেন কটাক্ষবাণ। শেষে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার উদ্ধৃতি করতেই গিয়ে যেন কাটল তারটা। ‘আমি মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত/ যেদিন অত্যাচারিতের খড়গ কৃপাণ’… এই অবধি বলেই অকপটে বলে ফেললেন ‘ভুলে গিয়েছি’। তারপর ফের ধরলেন। বললেন, ‘এই রণভূমে রণিবে না, আমি সেই দিন হব শান্ত, বিদ্রোহী রণক্লান্ত!’
ততক্ষণে ব্রিগেডে শুরু হয়েছে ফিসফাস। একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচায়ি চলছে। তখনই মীনাক্ষীর পরেই স্টেজে উঠলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ওঠামাত্রই দক্ষিণপন্থা আর বামপন্থার তফাৎ বোঝাতে গিয়ে চড়া আক্রমণ শানালেন মোদী-মমতাতে। ব্যাট ধরলেন মীনাক্ষীর হয়ে। ভুল ধরেই দিলেন শিক্ষা। স্পষ্ট বললেন, ভুল স্বীকার করতে যদি কেউ পারে সেটা বামপন্থীরা।
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় সেলিম বলেন, “অনেকে বলে বামপন্থার সঙ্গে দক্ষিণপন্থার তফাৎ কী? খুব সহজ। কমরেড মীনাক্ষী আপনার সামনে বর্ক্তৃতা করছিল। বলতে বলতে উত্তেজনায় কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে বলল ভুলে গিয়েছি। আচ্ছা এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হলে বলতে পারত ভুলে গিয়েছি! মোদী কখনও বলতে পারে জনসমক্ষে ভুলে গিয়েছি, ভুল বলেছি! কোনও স্বৈরতন্ত্রী, কোনও ফ্যাসিস্ট কখনও ভুল স্বীকার করে না। বামপন্থীরা পারে। কারণ, তাঁরা সত্যের পথে থাকে। ওসব ভুজংভাজুং দিয়ে চলে না।”