Anish Khan Family: ‘ইনসাফ’ জন্ম যাঁর মৃত্যুতে, তাঁর পরিবার ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে কী বলছেন?
Anish Khan Family: শুরু থেকে যেভাবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা তাঁদের পাশে ছিলেন তাতে আপ্লুত মুসকান খাতুনও। তিনি নিজেও হেঁটেছেন বামেদের ইনসাফ যাত্রায়। ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “শুরু থেকে উনি আমাদের পাশে ছিলেন। আজও আছেন”
কলকাতা: নতুন ভোরে স্বপ্ন নিয়ে পথে নেমেছে বামেরা। ইনসাফের দাবি ভরেছে ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ব্রিগেড। ৫০ দিন ইনসাফ যাত্রার শেষে এই ব্রিগেডের ডাক দিয়েছিল বামেদের যুব শিবির। লোকসভার নির্বাচনের আগে বামেদের এই ব্রিগেডই রবিবার বঙ্গ রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। গত ১০ ডিসেম্বর ৩৭ দিনের মাথায় ইনসাফের দাবিতে এই ইনসাফ যাত্রা পৌঁছায় আনিস খানের বাড়িতে। আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে কিছুদিন আগেও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। গর্জে উঠেছিলেন বাম নেতারা। বারবার আনিসের বাড়িতে ছুটে গিয়েছে মীনাক্ষী ব্রিগেডও। বারবার উঠেছে ‘ইনসাফের’ দাবি। আমতার ওই ছাত্রনেতার মৃত্যুর প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মীনাক্ষী-সহ মোট ১৬ জনকে। দীর্ঘদিন জেলেও থাকতে হয় মীনাক্ষীকে। সেই আনিসের পরিবারের লোকজনও এদিন গেলেন মীনাক্ষীর ব্রিগেডে।
‘এই সরকার যতদিন থাকবে, ইনসাফ পাওয়া যাবে না’, ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে জোরালো কণ্ঠে বললেন আনিসের বাবা। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “ইনসাফের জন্য লড়াই চলছে, লড়াই করছি। ইনসাফ চাইতেই তো আজ এখানে জমায়েত করেছি।” আনিসের পরিবার থেকে এদিন ব্রিগেডে আনিসের বাবা সালেম খান শুধু এসেছেন এমনটা নয়। আনিসের মেজ দাদা শামসুদ্দিন খান ও ভাগ্নি মুসকান খাতুনকেও এদিন দেখা গেল ব্রিগেডে।
শুরু থেকে যেভাবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা তাঁদের পাশে ছিলেন তাতে আপ্লুত মুসকান খাতুনও। তিনি নিজেও হেঁটেছেন বামেদের ইনসাফ যাত্রায়। ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “শুরু থেকে উনি আমাদের পাশে ছিলেন। আমাদের ইনসাফ পাওয়ানোর জন্য চেষ্টা করে গিয়েছিলেন। যতদিন না আমার মামার ইনসাফ পাচ্ছি ততদিন আমি এই লড়াইয়ে থাকব।”