কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে বাংলায়। ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এক দফাতেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এক দফাতেই কীভাবে ভোট? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। তবে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘একটি দফায় হচ্ছে, নাকি ১৪টি দফায় হচ্ছে… তার উপর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে কি না, তা নির্ভর করে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য অনেকগুলি কাজ করতে হয়। সেই কাজগুলি যাতে সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশন ঠিকভাবে করে, সেটা আশা করব।’
উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন রাজীব সিনহা। অতীতে রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আমলা হিসেবে রাজীব সিনহার অতীত অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু একজন প্রাক্তন মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন, সেক্ষেত্রে নতুন দায়িত্বে কমিশনের আগে যে সমস্ত পাপ রয়েছে সেগুলি তিনি অন্তত ধুয়ে মুছে সাফ করার চেষ্টা করবেন বলে আশা করি।’
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, সেই বিষয়ে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখার কথা বলেছেন নতুন
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে রাজ্য পুলিশের উপর যে বিশেষ ভরসা রাখতে পারছে না কংগ্রেস, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তবে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও জানাচ্ছেন, ‘নির্বাচন কমিশনার কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন… রাজ্য পুলিশ নাকি দিল্লির পুলিশ নাকি অন্য জায়গার পুলিশ… সেটি তাঁদের বিষয়। কিন্তু বুঝে রাখতে হবে, এটা ২০১৮ সাল নয়, এটা ২০২৩ সাল। যে মানুষ ভোটে দাঁড়াতে চাইবেন, তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোট গণনা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কীভাবে করবেন, সেটাই নির্বাচন কমিশনের কাজ। শুধুমাত্র নির্বাচন ঘোষণা করে, বাকি সব শাসক দলের গর্তে ফেলে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়।’