কলকাতা : লোকসভা ভোটের জন্য এখনও অনেকটা সময় বাকি। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী ‘মহাজোট’ গঠনের তত্ত্ব ফের একবার চর্চায় উঠে এসেছে। কারণ, সূত্র মারফত খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে কাছে টানতে ফের একবার উদ্যোগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোনিয়াকে এসএমএস পাঠিয়েছেন মমতা। আর সেখানে নাকি আরও একবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। আর এই ইস্যুতেই এবার তৃণমূল শিবিরকে এক হাত নিল সিপিএম (West Bengal CPIM)। শুক্রবার বিকেলে সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন উল্টো কথা বলে আসছিলেন। তার এখন আবার কেন বলছেন ? সেই সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, তৃণমূল সুপ্রিমো কেউ বিশ্বাস করেন না।
সুজন চক্রবর্তীর কথায়, মমতা তো উল্টো কথাই বলে আসছিলেন। তিনি তো বলছিলেন, কংগ্রেস দিয়ে হবে না। এখন আবার কেন বলছেন? মমতাকে কেউ বিশ্বাস করেন না। ঘরে তো কেউটে নিয়ে বাস করতে পারেন না। মান্নানদা নিজে একসময় বারবার বলতেন যে মমতার সঙ্গে যেতে হবে। তিনি কাকে কেউটে বলছেন, তা তিনি বলতে পারবেন। তবে ওনার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। সেই জায়গা থেকেই বলছেন।”
এর পাশাপাশি রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক গতিবিধি প্রসঙ্গেও সরব হন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের অন্দরের লড়াই তোলাবাজির। এর সঙ্গে অন্য কোনও নীতির সম্পর্ক নেই। তৃণমূল দলটাই একটি দল ভেঙে এসেছে। গদ্দার শব্দ কেন ব্যবহার করছে তারা? আসলে টাকার লড়াই, যে ভাগ পায়, সে ভাল। না হলে গদ্দার।” একইসঙ্গে পদ্ম শিবিরকেও আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি উঠে যাবে। বিজেপি আর তৃণমূল একই। আজ যে তৃণমূল, কাল তিনিই বিজেপি। প্রথমে মনে হচ্ছিল বিজেপির মধ্যে ওমিক্রন ছড়িয়েছে, দু’দিনে ঠিক হয়ে যাবে। এখম তো দেখা যাচ্ছে ডেল্টা প্লাস।”
আরও পড়ুন : Goa Assembly Election: সৈকত রাজ্যে নির্বাচনী বোঝাপড়ায় শিবসেনা-তৃণমূল, আরও কোণঠাসা কংগ্রেস