কলকাতা: বামেদের লালবাজার অভিযানে তুমুল উত্তেজনা। ফিয়ার্স লেনে বাধা পুলিশের। ব্যারিকেডের উপরেও উঠে পড়তে দেখা যায় প্রচুর বাম কর্মীদের। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাধা পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওই জায়গাতেই রাতভর অবস্থান করবেন বলেন জানিয়ে দেন বামফ্রন্ত চেয়ারম্যান বিমান বসু। মিছিল থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উঠতে থাকে লাগাতার স্লোগান। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিও আরও জোরালো হয়। ক্ষোভ উগড়ে দেন মহম্মদ সেলিম থেকে শতরূপ ঘোষের মতো বামেদের সব প্রজন্মের নেতারাই।
বিমান বসু বলেন, “সারা রাত এখানে অবস্থান হবে। প্রায় ৩০ ঘণ্টা আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি করব। সভা হবে, প্রতিবাদী গান হবে। আমরা বিচার চাই। উই ডিমান্ড জাস্টিস।” মঞ্চ থেকেই ফুঁসে ওঠেন সেলিমও। বলছেন, “ইতিহাস বলছে কোনও মানুষ ক্ষেপে গেলে কোনও দুর্গ, কোনও প্রাচীর বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। শুধু আঘাতে আঘাতে তাকে চূর্ণ করতে হয়। সবে তো শুরু হল। সারা রাত অবস্থান তো চলবেই।”
ক্ষোভ উগরে দেন শতরূপও। তার নিশানায় আবার পদ্ম শিবির। বলেন, “আমরা তো বিজেপির মতো ছদ্মবেশ নিয়ে আসেনি। যখন মনে হয়েছিল নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে থাকব তখন কোনও রাজনৈতিক সংকীর্ণতা বাদ দিয়ে আমরা পতাকা ছেড়ে ওই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। গায়ের জোরে নেতৃত্ব দখল করতে যাইনি। আবার যখন আমরা মনে করেছি বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে লালবাজার অভিযান করব তখন শুভেন্দু অধিকারীর মতো বুড়ো বয়সে ছাত্র সেজে ছদ্মবেশ ধারণ করিনি। আমরা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে লালবাজার অভিযান করব।”