কলকাতা: দক্ষিণ দমদমে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলরের ‘গান্ধীগিরি’। পোস্টার ঘিরে তুমুল চর্চা। কাউন্সিলরের দেওয়া হোর্ডিং দেখে চোখ কপালে স্থানীয়দের। হোর্ডিংয়ে সিপিএম থেকে শুরু করে বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস সকলেরই সহাবস্থান। লেখা, ‘সবাই পরিবারের মতো।’ এদিকে ভোটের ফল বলছে, দক্ষিণ দমদমে চারটি, দমদমের ১১টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের সৌগত রায়। দমদম পুরসভার পুরপ্রধান, উপ পুরপ্রধানের ওয়ার্ডে পর্যন্ত জিততে পারেনি তৃণমূল। অন্যদিকে নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও শিরোনামে এসেছেন। নির্দল হিসাবে ভোটে জয়ের পর তৃণমূলে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মঞ্চে গিয়ে রণে ভঙ্গে দেন তিনি। তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি। কান্নায় ভেঙে পড়েন দেবাশিস। সৌগত রায়কে সান্ত্বনা দিতেও দেখা যায়। পরে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে ব্যালট ছাপিয়ে, ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভোট পর্যন্ত করান। সেই নির্দল কাউন্সিলরের এই নতুন কাণ্ড রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
সোজা কথায় লোকসভা ভোটের পর রাজ্য যখন নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার ভোট পরবর্তী হিংসার খবর আসছে সেখানে দমদমে যেন উলটপুরাণ। দমদম রোডের উপরে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই হোর্ডিং সকলের নজর কাড়ছে। ওই হোর্ডিংয়ে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে বিরোধী সব দলের প্রতীক সহ লেখা আছে, এইবার নির্বাচনে যে সামন্য কয়েজন মানুষকে সঙ্গে পেলাম না, আগামীদিনে আপনারা সঙ্গে থাকলে কাজের মাধ্যমে তাঁদেরও মন জয় করতে পারবই। এই বক্তব্য ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ফুচুর। যিনি গত পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ছিলেন। এখন নির্দল হলেও তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সখ্য বজায় রয়েছে বলে জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল।
দেবাশিসবাবু বলছেন, “কাজ করেছি বলে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল আমাকে ভোট দিয়েছে। যখন আমি দলে জয়েন করা কিনা এই নিয়ে ব্যালট দিই তখন বেশিরভাগ মানুষ আমাকে বলেছিল তুমি যেমন আছো তেমন থাকো”। দক্ষিণ দমদমের স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর পাল বলছেন, “উনি হয়তো পোস্টার দিয়েছেন। কিন্তু আমরা পোস্টার দিইনি মানেই কিন্তু বিরোধীদের মারধর করছি এমনটা নয়।” অন্যদিকে বিরোধীরা কিন্তু বলছে, এসব আসলে প্রচারের মোড়ক।