AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CV Ananda Bose: অপরাজিতা বিলকে ‘পলিটিকাল গিমিক’ বললেন রাজ্যপাল, সই পাওয়া সহজ হবে না…

RajBhawan: রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই 'কপি পেস্ট', বলছেন রাজ্যপাল। টেকনিকাল রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল যে এই বিল সই করবেন না, তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। ফলে এই বিল নিয়ে আবারও যে রাজ্য-রাজভবন চাপানউতর তৈরি হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

CV Ananda Bose: অপরাজিতা বিলকে 'পলিটিকাল গিমিক' বললেন রাজ্যপাল, সই পাওয়া সহজ হবে না...
রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2024 | 1:05 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যের ‘অপরাজিতা বিল’ ধাক্কা খেল রাজভবনে। রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে ‘পলিটিকাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। এই বিলের টেকনিকাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিকাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই। পাল্টা বিধানসভার অধ্যক্ষ জানান, আজই টেকনিক্যাল রিপোর্ট চলে যাবে রাজভবনে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই ‘কপি পেস্ট’, বলছেন রাজ্যপাল। টেকনিকাল রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল যে এই বিল সই করবেন না, তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। ফলে এই বিল নিয়ে আবারও যে রাজ্য-রাজভবন চাপানউতর তৈরি হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

আরজি করকাণ্ডের আবহে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ করা হয়। বিরোধীরাও সমর্থন জানায় বিলে। এই বিল সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়েই বলেন, “এই বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি।”

এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “রাজনৈতিকভাবে এবং সরকারিভাবে বাঁচার জন্য সরকার এই বিল তৈরি করেছে। নজর ঘোরানোর বিল এটা।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “দলীয় সভায় ঘোষণা করে ২ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী একটা বিল এনেছেন। আড়াই তিনদিনে তো এভাবে বিল হয় না। এটায় কোনও নতুনত্ব নেই।”

যদিও এ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের মধ্যেই বিলের টেকনিক্যাল রিপোর্ট চলে যাবে। অন্য রাজ্য সঙ্গে এখানকার বিষয় আলাদা। তাই অবিলম্বে এই বিল পাস করিয়ে দেওয়া উচিত রাজ্যপালের। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে উদ্যোগ নিন রাজ্যপাল। সবটাই বাংলার স্বার্থে।”