কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে ভিটে-মাটি হারা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ৪ লক্ষের কাছাকাছি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সঠিক সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৮১ হাজারের কিছু বেশি। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার আবেদনপত্র মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণ চেয়েই ৮৬ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে সরকারের দুয়ারে। তবে এই বিষয়টিতেও নতুন করে রাজনীতির রং লাগতে পারে, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশিরভাগ আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ইয়াসের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দুই জেলার পরিস্থিতিই করুণ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে মোট ১ লক্ষ ১৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৩৮ হাজারের কিছু বেশি সংখ্যক আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। সর্বমোট যে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন বাতিল করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যে এলাকাগুলি ইয়াসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তার মধ্যে একটা বড় এলাকার উপর শুভেন্দু অধিকারীর বেশ দাপট রয়েছে। ফলে ত্রাণের বিষয়টি নিয়েও ভবিষ্যতে বিতর্ক দেখা দিলে অবাক হতে হবে না।
দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গোটা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখতে কোনও জনপ্রতিনিধিকে শামিল করা হবে না। পুরোটা সরকারি আধিকারিকেরা দেখবেন। সেই মতো আবেদনের সত্যতা খতিয়ে দেখতে যান ঘটনাস্থলে যান সরকারি আধিকারিকরা। প্রথমেই দেখা যায়, এমন অনেক পরিবার রয়েছে যার দুজন সদস্য একসঙ্গে ত্রাণের আবেদন জানিয়েছেন। অনেকে আবার আবেদন করতে গিয়ে ভুল করেছেন। এরকম একাধিক ঘটনা উঠে আসায় এই বিপুল পরিমাণ আবেদন বাতিল করতে হয় রাজ্য সরকারকে। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।
আরও পড়ুন: বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব ধ্বনিভোটে পাশ বিধানসভায়, বিরোধিতায় ত্রিফলা ‘যুক্তি’ শুভেন্দুর
নবান্ন সূত্রে খবর, ১ জুলাই থেকেই ন্যায্য আবেনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হচ্ছে। দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে ত্রাণ বিলির জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকার অর্থ মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: রুদ্রর সঙ্গে ছবি, বাড়িতে বিজেপির সদস্যতার রসিদও! ধৃত জালিয়াত সনাতন যেন দেবাঞ্জন পার্ট ২