Calcutta High Court: কোন কোন কর্তার বেতন বন্ধ? জানতে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিদ্যুৎ সংস্থা

Calcutta High Court: বকেয়া ডিএ-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা না মেটানোয় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের একাধিক আধিকারিকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Calcutta High Court: কোন কোন কর্তার বেতন বন্ধ? জানতে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিদ্যুৎ সংস্থা
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 5:27 PM

কলকাতা : মাস শেষ হয়ে এসেছে। বেতন অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা ছিল বৃহস্পতিবার সকালেই। কিন্তু সংস্থার কোন কোনও কর্তার বেতন বন্ধ করা হবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল বিভ্রান্তি। এ দিন দুপুরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের জি এম, এম ডি সহ মোট ছ জন অফিসারের বেতন বন্ধ করতে হবে। আর তারপরেই WBSEDCL- এর জিএম অডিট ও জিএম এইচআর, এই দুই পদাধিকারীর বেতন বন্ধ করা হয়।

রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীদের বকেয়া ডি এ সময়ের মধ্যে না মেটানো আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্মীরা। ২৪ জুন বিচারপতি মান্থা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ও সংবহন সংস্থার জি এম, এমডি ও আদালতে উপস্থিত সিএমডিদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালতে মোট চার জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদতে ওই দুই সংস্থায় সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে মোট ছ’জন অফিসার রয়েছেন। তাই কাদের বেতন বন্ধ হবে তাই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ দিন সেই বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করে কাদের বেতন বন্ধ হবে সেই ব্যাপারে নির্দেশ চান সংস্থার আইনজীবী। আর তাতেই আদালত ওই ছ জনেরই বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দেন, যতদিন না বকেয়া ডি এ মেটানো হচ্ছে, ততদিন ওই আধিকারিকদের বেতন বন্ধ থাকবে। ১৫ জুলাই পরবর্তী শুনানি। যদি এই সময়ের মধ্যে ডি এ মেটানো হয় তাহলে আগে থেকে জানাতে হবে। তবেই আদালত পুনরায় বেতন চালুর নির্দেশ দেবে। এ দিকে জিএম, এম ডি যেহেতু সংস্থার কর্মী, তাই কর্মীদের ডি এ বকেয়া থাকায় কর্মীদেরই বেতন বন্ধ করা যায় কি না এই প্রশ্ন তুলেছে কর্মীদের একাংশ। ই বিদ্যুৎ সংস্থা এসিটিএসএল (WBSETCL) ও  এসিডিএসএল (WBSEDCL)- এর বিরুদ্ধে ডিএ না মেটানোর অভিযোগ উঠেছে। কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, তাঁদের বকেয়া ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মীদের ডিএ মেটানোর সময় বেঁধে দিয়েছিল আদালত। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ায় কর্তাদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।