Vande Bharat: মমতাকে দেখলে কেন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে? দেবাংশুর নয়া ব্যাখ্যা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 30, 2022 | 9:04 PM

Mamata Banerjee: দেবাংশু ভট্টাচার্য ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেই ওরা রামচন্দ্রকে দেখতে পায়। তাই তাকে দেখলেই জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলে।"

Vande Bharat: মমতাকে দেখলে কেন জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে? দেবাংশুর নয়া ব্যাখ্যা
কী বলছেন দেবাংশু?

Follow Us

কলকাতা: হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) উদ্বোধনে সরকারি অনুষ্ঠানে ফের জয় শ্রীরাম (Jay Sree Ram) স্লোগান। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে গতবছর যে ঘটনা ঘটেছিল, আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনেই সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপির একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘটনা নিয়ে মুখ না খুললেও তৃণমূলের অনেক নেতাই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেই ওরা রামচন্দ্রকে দেখতে পায়। তাই তাকে দেখলেই জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলে।”

প্রসঙ্গত, দেবাংশুর এই পোস্টের বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এদিন বিকেলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি প্রসঙ্গে দলের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বলেছেন, “কেউ কাউকে লক্ষ্য করে কোনও জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়নি। জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াটা বিজেপির কোনও ঘোষিত কর্মসূচি ছিল না। ঠিক তেমনই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীরও মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করাটাও কোনও ঘোষিত কর্মসূচি ছিল না।”

এর আগে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এই স্লোগান প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। লকেটের ব্যাখ্যা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি যখন পর্দায় দেখা গিয়েছে, তখন থেকেই এই স্লোগান শুরু হয়েছে। এটা বিজেপির কর্মীদের রক্তে রয়েছে। বলেন, “আমাদের ভিতর থেকে বেরোয় এই স্লোগান। এই স্লোগান আমাদের ইমোশন। এর সঙ্গে কোনও রাজনীতি জোড়া উচিত নয়।” এমনকী ওই স্লোগান যে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার জন্য নয়, সেই কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন লকেট।

যদিও এদিন যখন হাওড়ায় বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠছিল, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি আসরে নেমেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সুভাষ সরকার। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আর মূলমঞ্চে ওঠেননি। মূল মঞ্চের পাশেই একটি চেয়ারে বসে থাকেন। সেখান থেকেই বক্তব্য রাখেন, সেখান থেকেই ফ্ল্যাগ অফ করেন।

Next Article