কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারি, পরেশ অধিকারীর কন্যার নাম অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো… এই সব নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। কারণ, উভয়েই ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। সরকার তথা ক্যাবিনেটের স্বচ্ছ্বতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বার বার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেউ জড়িত থাকলে, তাঁকে রেয়াত করা হবে না। কিন্তু তারপরও দল, সরকার ও ক্যাবিনেটের স্বচ্ছ্বতার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে বেশ কিছু রদবদল অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছিল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীর ঠাঁই হয়নি মমতার নতুন ক্যাবিনেটে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একঝাঁক নতুন মুখ। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন পাঁচজন – প্রদীপ মজুমদার, বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক এবং উদয়ন গুহ। বাবুল তৃণমূলে আসার পরপরই জোড়া উপহার। প্রথমে বালিগঞ্জের উপরনির্বাচনে প্রার্থী করে বিধায়ক করা। আর তারপর মন্ত্রিসভায় প্রবেশ। মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে যেন আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন বাবুল।
এর পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তাজমুল হোসেন এবং সত্যজিৎ বর্মণ। আর বীরবাহা হাঁসদা, যিনি আগেই প্রতিমন্ত্রী ছিলেন… এবার তিনি প্রোমোশন পেয়ে হলেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। বিপ্লব রায়চৌধুরীও স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
যাঁরা ক্যাবিনেটে নতুন এলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়-পাত্র। আবার কেউ রয়েছেন, যাঁদের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ ভরসা রাখেন। তবে মোটের উপর নতুন যাঁদের আনা হয়েছে,তাঁদের প্রত্যেকের যে বিষয়টি সবার আগে দেখা হয়েছে, তা হল স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি। কারণ, চারিদিক থেকে তখন বাক্যবাণ ধেয়ে আসছিল। প্রশ্ন উঠছিল ক্যাবিনেটের স্বচ্ছতা নিয়ে। আর ঠিক এমনই এক সময়ে মমতা-অভিষেকের যুগলবন্দিতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্বচ্ছ্বতার ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা দেখা গেল।