Dengue in Kolkata: ডেঙ্গিতে ভুগছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু

Dengue: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত উৎপল নস্কর ২৭ অক্টোবর থেকে মোমিনপুরের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।

Dengue in Kolkata: ডেঙ্গিতে ভুগছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু
ডেঙ্গি আক্রান্ত পুলিশকর্মীর মৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 5:36 AM

কলকাতা: ডেঙ্গির চোখরাঙানি যেন কিছুতেই কমছে না। ফের শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু (Dengue Patient Death)। এবার প্রাণ হারালেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক ASI। মৃত ওই পুলিশকর্মীর নাম উৎপল নস্কর। বয়স ৫৪ বছর। মোমিনপুরের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়তেই মৃত্যু হয় তাঁর। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত উৎপল নস্কর ২৭ অক্টোবর থেকে মোমিনপুরের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দিন কয়েক আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি।

বর্ষার মরশুমে প্রতি বছরই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে ওঠে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। কলকাতা পুরনিগমকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আসরে নামতে হয় প্রতি বছর। ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর ধোঁয়া স্প্রে করা থেকে শুরু করে কোথাও জল জমে থাকছে কি না, সেই সব দিকে নজর দেয় পুর প্রশাসন। এই বছরও তার অন্যথা হচ্ছে না। পুরনিগমে স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটিও পুজোর মরশুমে বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও রাশ টানা যাচ্ছে না ডেঙ্গির প্রকোপের উপর। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য দফতরকে। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। এবার কলকাতা পুলিশের এক ডেঙ্গি আক্রান্ত এএসআই-ও প্রাণ হারালেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হল তাঁর।

ASI-র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “সবাই যদি সচেতন থাকে এবং সহযোগিতা করে তাহলে ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরসভা নিয়মিত স্প্রে করছে। কিন্তু মানুষকে সচেতন হতে হবে।” তিনি জানান, পুলিশ কমিশনার পুর কমিশনারের সঙ্গে আজকে ফোনে কথা বলেছেন। থানাগুলিকে বলা হয়েছে, পুরসভার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য। পুরসভার সঙ্গে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করলে তবেই ডেঙ্গিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ডেঙ্গি এবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

ডেঙ্গি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে কলকাতার মেয়র বলেন, “বিরোধীরা সবসময় আওয়াজ তোলে। যখন বিকাশ ভট্টাচার্য মেয়র ছিলেন, তখনও ডেঙ্গি হত। ডেঙ্গিতে অনেকেই মারা গিয়েছেন তখনও। সিঙ্গাপুরের মতো ঝকঝকে শহরেও ডেঙ্গি হয়। যাঁরা ডেঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করছেন তাঁরা রাজনীতি করতেই পারেন। কিন্তু আমাদের ডেঙ্গি দমনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার উপরেও। আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ আরও নিবিড়ভাবে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও বাড়িতে কেউ জ্বরে ভুগছেন কি না, সেই সবের উপরও নজর রাখা হচ্ছে। শুধু সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্যও একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।