DEV: ‘আমি সেদিন ওটা করতে চাইনি, তখন নতুন, বুঝিনি, এতদিন কাউকে একথা বলতে পারিনি…’, ১৩ বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর সামনে চরম স্বীকারোক্তি দেবের
DEV: বাধ্য হয়ে দেব বলেন, "কিশোরী গানের প্রথম লাইনটা মনে রয়েছে... দিদির সামনে আমার সব গুলিয়ে যাচ্ছে। আমার এখন একটা গান মাথায়, যেটা গাইলেন এখুনি ট্রোল হতে শুরু করব। ও মধু গানটা কারোর মনে রয়েছে? এটাই মাথায় এল..."
কলকাতা: ‘আমি সেদিন সেটা করতে চাইনি… এটা বলতেও পারিনি, বলার সুযোগ পাইনি।’ ছাত্র সপ্তাহের উদযাপন অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন দেব। কেন?
বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিল ছিল বিভিন্ন নামী স্কুলের কৃতী পড়ুয়ারা। মঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ বিধায়ক। প্রত্যেকেই নিজেদের বক্তব্য রাখলেন। ইন্দ্রনীল সেন মঞ্চে গান গাইছিলেন। তখন তিনি দেবকে ‘কে তুমি নন্দিনী…’ গানটা গাওয়ার জন্য বলেন। সেই নিয়ে মঞ্চে মজার পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেব কিছুতেই গাইতে রাজি হচ্ছিলেন না। আসরে নামেন খোদ মমতা। তিনি দেবকে বলেন, ‘গাও না, এখানে তো নন্দিনীও রয়েছে…’
এরপর ইন্দ্রনীলের সঙ্গে গলা মেলান দেব। তবে বেশি নয়, এক-দু কলি। আর তারপরই মাইক নিয়ে দেব বলেন, “গান নিয়ে ইতিহাস রয়েছে আমার জীবনে। আমার এখনও মনে রয়েছে ২০১১ সালে শহিদ দিবসে, আমি তখন একদমই নতুন, তখন ভুল করে পাগলু গানটা গেয়েছিলাম। আমি বুঝিনি এই মঞ্চে… কিন্তু আমি সেদিন গাইনি… আমি এটা বলার সুযোগ কোনওদিনও পাইনি। আমি আজকে বলার সুযোগটা পেলাম। কারণ মঞ্চের সামনে যে হাজার হাজার লোক বসেছিলেন, তাঁরাই পাগলু গানটা গেয়েছিলেন। তাঁরাই বলেছিলেন, আজকেও আবার সেরকমই একটা দিন, আমি গাইতে পারব না।” মঞ্চে ওঠে হাসির রোল। পরিস্থিতি সামলে মমতা আবারও দেবকে বলেন, ‘একটা গান গাও না..’, ইন্দ্রনীল তখন পড়ুয়াদের উদ্দেশেই বলেন, “ওকে(দেবকে) গাইতে বলো…”
বাধ্য হয়ে দেব বলেন, “কিশোরী গানের প্রথম লাইনটা মনে রয়েছে… দিদির সামনে আমার সব গুলিয়ে যাচ্ছে। আমার এখন একটা গান মাথায়, যেটা গাইলেন এখুনি ট্রোল হতে শুরু করব। ও মধু গানটা কারোর মনে রয়েছে? এটাই মাথায় এল…”
হাসি মজার মধ্যে দেব ছাত্রদের উদ্দেশে কিছু বার্তাও দেন। বলেন, “যদি জীবনে নতুন করে কিছু ফিরে পেতে চাই, সেটা আমার স্কুলজীবন। স্টুডেন্টস লাইফটাই ফেরত পেতে চাই। যদি আরও একটু ভালো করে পড়াশোনাটা করতাম, জীবনে আরও একটু ভালো মানুষ হতে পারতাম। অভিমান হবে, হিংসা হবে পরবর্তী সময়ে, কিন্তু ১০-১৮ বছর বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যতটা পারবে ব্যবহার করবে এই সময়টাকে।”