কলকাতা: একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাস্তায় নেমে সুর চড়িয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন ঘাসফুল শিবিরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এরইমধ্য়ে কয়েকদিন আগে কেন্দ্র-রাজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকও হয়ে গিয়েছে এই বকেয়া নিয়ে। রাজ্যের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন বকেয়া নিয়ে যা তথ্য চাওয়া হয়েছিল সবই দেওয়া হয়েছে দিল্লিকে। তারপর থেকেই বকেয়ার স্বপ্নপূরণ নিয়ে নতুন আশার আলো দেখতেও শুরু করেছিলেন অনেকে। ওই বৈঠকের পরেই সাতদিনের ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছিলেন মমতা। বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। শুক্রবার থেকেই কলকাতায় ধরনায় বসছেন মমতা। দু’দিন চলবে সেই ধরনা। তারপরই উড়ে যাবেন দিল্লি।
শোনা যাচ্ছে, ৭ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সূত্রের খবর, ওই দিনই ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ বিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই কমিটিকে আগেই চিঠি লিখে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন তীব্র আপত্তি। এদিকে যে দলগুলি ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’-এ আপত্তি জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তবে দিল্লি গিয়ে ফের বকেয়া নিয়ে মমতা সরব হন কি না এখন সেটাই দেখার।
এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বকেয়া বঞ্চনার অভিযোগকে হাতিয়ার করে নতুন করে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। যদিও তার ছাপ ভোটবাক্সে কতটা পড়ে সেটা দেখার। তবে ইস্যুতে মমতার ধরনা যে ঘাসফুল শিবিরকে নতুন করে অক্সিজেন যোগাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে পদ্ম শিবিরের দাবি, দুর্নীতির জালে জড়িয়ে রাজ্য। সে কারণেই আসছে না বকেয়া টাকা।