AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha: ‘খোয়াক্ষীর মিশিয়েই বানানো হবে প্যাঁড়া-গজা, সেটাই যাবে বাড়ি-বাড়ি’, দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসাদ বিতর্কে মুখ খুলল রাজ্য

Digha: ইন্দ্রনীল বলেন, "হঠাৎ করে কয়েকটি চ্যানেলে জগন্নাথ ধামের প্রসাদ নিয়ে কিছু মানুষকে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনে আমরা আহত। বাংলার মানুষ যাতে কোনওভাবেই বিভ্রান্ত হবেন না।"

Digha: 'খোয়াক্ষীর মিশিয়েই বানানো হবে প্যাঁড়া-গজা, সেটাই যাবে বাড়ি-বাড়ি', দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসাদ বিতর্কে মুখ খুলল রাজ্য
উদ্ধার হওয়া জগন্নাথ মূর্তিImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2025 | 8:09 PM
Share

দিঘা: দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্যবাসীর বাড়িতে। আর তা নিয়েই বিতর্ক!  রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, পাড়ার মিষ্টির দোকানের মিষ্টি দেওয়া হবে। শুভেন্দুর কথায়, “এগুলো মিষ্টি হিসাবে খাবেন, প্রসাদ হিসাবে নয়।” এবার সেই বিতর্কে মুখ খুলল রাজ্যসরকার। সাংবাদিক বৈঠক করলেন পর্যটন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তাঁর বক্তব্য, খোয়া ক্ষীর দিঘায় নিয়ে গিয়ে সেখানে থেকে মহাপ্রসাদ করে এনে তা জেলায় জেলায় সব বাড়িতে পাঠানো হবে। কোনও ধর্মীয় মেরুকরণের জায়গা নেই।

ইন্দ্রনীল বলেন, “হঠাৎ করে কয়েকটি চ্যানেলে জগন্নাথ ধামের প্রসাদ নিয়ে কিছু মানুষকে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনে আমরা আহত। বাংলার মানুষ যাতে কোনওভাবেই বিভ্রান্ত হবেন না।”

শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে কটাক্ষ করেন, “যাঁরা প্রেস কনফারেন্স করে এরকম ধর্মীয় তাস খেলে বার বার ভোটে জেতার চেষ্টা করেছেন, আমি উল্টো বলব ওঁনাদের পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। উল্টে বলব তাদের পায়ের তলার মাটি আর নেই।” ইন্দ্রনীল বলেন, “প্যাঁড়া তৈরির যে উপকরণ খোয়াক্ষীর তা মিষ্টির দোকানে এনে তৈরি করে দেওয়া হবে।”

ইন্দ্রনীল বলেন, “আমি বলব মানুষের টাকাতেই সরকার চলে। বাংলার মানুষের টাকাতেই মন্দির তৈরি হয়েছে। এই টাকা সাধারণ মানুষের।”

রাজ্যের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রথম কিস্তিতে খোয়া এখান থেকে দিঘাতে জগন্নাথ দেবের কাছে পুজো দিয়ে, তারপর জেলায় জেলায় যেখানে মিষ্টি তৈরি হবে, তার মধ্যে খোয়ায় মিশিয়ে সেটি বিতরণ করা হবে। রাজ্যের দাবি, “এটা কখনই মিষ্টি নয়, প্রসাদ হিসাবেই যাবে।”

রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে,  রেশন ডিলারের মাধ্যমে প্যাকেট যাবে। দলীয় কোনও কর্মীকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে না বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।

প্রসঙ্গত, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের তরফ থেকে প্যাকেটে ভরে প্রসাদ পাঠানো হবে রাজ্যের প্রত্যেক বাসিন্দার কাছে। আগামী ১৭ জুন থেকে প্রসাদ পৌঁছবে প্রত্যেকের বাড়িতে। কিন্তু এরপরই শুভেন্দু সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন, “মন্দিরের প্রসাদ হিসেবে কেন পাড়ার দোকানের মিষ্টি দেওয়া হবে?  হিন্দুদের আস্থায় আঘাত করা হয়েছে।” শুভেন্দু কটাক্ষের সুরে পরামর্শ দিয়েছেন, “মিষ্টি হিসাবেই খাবেন, প্রসাদ হিসাবে নয়।”