Dilip Ghosh on Paresh Adhikari: ‘পরেশ যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই…’, তোপ দিলীপের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 25, 2022 | 9:12 AM

Dilip Ghosh on Paresh Adhikari: শুক্রবারই এসএসসি মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকারকে অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এরপরই ফের দুর্নীতি ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।

Dilip Ghosh on Paresh Adhikari: পরেশ যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই..., তোপ দিলীপের

Follow Us

কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। তবে সেই দুর্নীতির মামলায় নয়া মোড় এনেছে পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরি। কোনও ইন্টারভিউ ছাড়াই রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে হওয়া মামলার জেরে পরেশ অধিকারীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। আদালত যখন ওই মামলায় চাকরি প্রার্থী ববিতা সরকারে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন, তারপরই ফের একবার মন্ত্রীর নাম ধরে তোপ দাগলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকারকে পরেশ- কন্যা অঙ্কিতার স্কুলেই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই প্রসঙ্গে শনিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, আদালতের বিচারাধীন বিষয়। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, সেটা সবাইকে মানতে হবে। আর দুর্নীতি যে ব্যাপক হয়েছে এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে, এখন সরকারের কর্তব্য সেটাকে ঠিক করা।

দিলীপ ঘোষ মনে করেন, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী, তাঁদের চাকরি পাওয়ার অধিকার আছে। তাঁদের চাকরি দেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। আর যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, পরীক্ষা না দিয়ে, ফেল করে চাকরি পেয়েছেন, স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁদের চাকরি বাতিল করছে আদালত।

তিনি উল্লেখ করেন, পরেশ অধিকারী বাম আমলে খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। শিক্ষা বিভাগে এখন আছেন, সেখানেও দুর্নীতি।  নিজের লোকদের, আত্মীয়দের চাকরি দিয়েছেন, এইভাবে বাংলার রাজনীতিকে, বাংলার সমাজকে ব্যাপক কলুষিত করেছেন বলেও অভিযোগ দিলীপের। বিজেপি সাংসদের দাবি, সেই কলুষতা দূর করার প্রয়াস শুরু হয়েছে আদালতের মাধ্যমে। সিবিআই-এর ওপর বিশ্বাস আছে বলেও উল্লেখ করেছেন দিলীপ।

উল্লেখ্য, প্রভাব খাটিয়ে যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ইতিমধ্যেই অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। তিনি ৪১ মাস চাকরি করে যে টাকা পেয়েছিলেন, তাও ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Next Article