কলকাতা: বাম আমলে খাদ্য দফতরে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশও দিয়েছে স্যাট। এই মামলা নিয়ে তৃণমূল সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনও দায় তারা নেবে না। অন্যদিকে বিজেপিও এই বিষয়ে এক হাত নিয়েছে সিপিএমকে। দিলীপ ঘোষের সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ‘তৃণমূল, সিপিএম চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। দুর্নীতিতে কেউ কম যায় না।’ তারই পাল্টা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনায় সরকার বা কোনও দলীয় নেতার নাম জড়ায়নি। এইসব কথায় তাই লাভ নেই।
সদ্য একটি মামলায় স্যাট রায় দিয়েছে, বাম আমলে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সেখানে ৬১৪ জন কর্মীর নিয়োগ হয়েছিল। তাঁদের ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে স্যাট। সূত্রের খবর, স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন ছাঁটাই হওয়া ওই কর্মীরা। সেক্ষেত্রে কি খাদ্য দফতর ওই কর্মীদের পাশে দাঁড়াবে? মামলায় কি সরকার পক্ষ হবে? খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনওভাবেই তা হবে না। তাঁর বক্তব্য, “এ দায় বাম সরকারের। যে প্যানেল চাকরি দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার দায় আমাদের নয়।” যাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে স্যাট, তাঁদের কী হবে? মন্ত্রীর মতে, “তাঁরা যদি মামলা লড়তে চান, তাহলে যাঁদের মামলা, তাঁদের নিজেদের লড়তে হবে। এখানে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।”
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাই আদালত যা বলবে সেটাই হবে। তবে এটা কোনও দল, সরকার, মন্ত্রীর গল্প ছিল না। পাঁচজন আধিকারিকের কমিটি তাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছে। তারা যদি বেঠিক করে থাকে, অন্যায় করে থাকে, তার দায়িত্ব তাদের। রাজনৈতিক কোনও প্রসঙ্গ আসেনি। আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোর্ট যা বলবে, তাই হবে।”