কলকাতা: উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Uttar pradesh) একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এরই মাঝে ঘটনার ‘রহস্যভেদ’ করতে সেখানে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তবে সেখানে তাঁদের কাজ কী হবে? দোলা সেন, মমতাবালা ঠাকুরদের জন্য ‘টিপস’ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কটাক্ষের ভঙ্গিতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা উত্তর প্রদেশ যাচ্ছেন শুনলাম। তাঁদেরকে অনুরোধ করব উত্তর প্রদেশের ছয় লেনের রাস্তা আর নতুন তৈরি এয়ারপোর্টগুলো দেখে আসুন, আর সেগুলো পশ্চিমবঙ্গে অনুকরণ করুণ।’ তবে এতেই থেমে থাকেননি পদ্ম শিবিরের সাংসদ। তৃণমূল প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে যোগ করে লেখেন, ‘প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জলে ডুব দিয়ে নিজেদের শুদ্ধ করুন এবং সেই পবিত্র জল আপনাদের পার্টি অফিসগুলিতে ছিটিয়ে সেগুলিকেও শুদ্ধ করুন।’
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে প্রয়াগরাজ জেলার একই পরিবারের ৫ সদস্যের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির ভিতর থেকেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরেই জাতীয় রাজনীতির তোলপাড় শুরু হয়। উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়, প্রয়াগরাজের খাওয়াজপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বাড়িটিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল এবং পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। তালিকায় মৃতদের নাম হিসেবে নথিভুক্ত হয়, রাম কুমার যাদব(৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী(৫২), কন্যা মনীষা(২৫), পুত্রবধূ সবিতা(২৭) এবং নাতনি সাক্ষী (৫)। তবে ঘটনার সময় ওই ব্যক্তির ছেলে সুনীল(৩০) বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তাঁদের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। যদিও সঠিক তথ্য জানতে দেহগুলির ময়নাতদন্ত চলছে।
এদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এই তৃণমূলের তরফে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন, মমতা বালা ঠাকুর সহ পাঁচ সদস্য রয়েছেন সেই দলে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করবে কমিটি। সেই রিপোর্ট ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন তাঁরা। এরপরই তাদের কটাক্ষ করে ফেসবুক পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ।