Maoist Activity: সুকান্ত ‘মাওবাদীর’ গন্ধ পেলেও, দিলীপের ব্যাখ্যা, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পয়সা নেওয়ার জন্যই এই নাটক’

West Bengal: গতকাল মেদিনীপুরে কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে। অন্যদিকে, রাত পোহাতেই উল্টো সুর দিলীপ ঘোষের গলায়।

Maoist Activity: সুকান্ত 'মাওবাদীর' গন্ধ পেলেও, দিলীপের ব্যাখ্যা, 'কেন্দ্রীয় সরকারের পয়সা নেওয়ার জন্যই এই নাটক'
মাওবাদী ইস্যুতে দুই নেতার ভিন্ন মত (গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2022 | 4:44 PM

জঙ্গলমহল: দল এক। নেতা দুই। মত ভিন্ন। মাওবাদী উপস্থিতি নিয়ে আলাদা মতামত বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। গতকাল মেদিনীপুরে কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আনাগোনা বাড়ছে। অন্যদিকে, রাত পোহাতেই উল্টো সুর দিলীপ ঘোষের গলায়। রবিবার তিনি সুকান্তর বক্তব্যে প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন, ‘কোথাও মাওবাদী নেই। পুরো এলাকা একেবারেই ঠান্ডা।’

রবিবার খড়গপুরে চা-চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রেলশহরে চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ দাবি করেন, “কোথাও কোনো মাওবাদী নেই, সব নাটক! পুরো এলাকা ঠান্ডা। কেন্দ্রীয় সরকারের পয়সা নেওয়ার জন্য নাটক করে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে।”

শনিবার মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার কী বলেছিলেন?

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মাওবাদী সমস্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে অনুন্নয়ন, কর্মসংস্থানহীনতা দিন বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে বাড়ছে এদের উপস্থিতিও। এই সমস্যা আরও বাড়বে। এই সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য পুলিশ পর্যাপ্ত নয়। সেই কারণে রাজ্য সরকারের উচিৎ কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা নেওয়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য চাওয়া। এর আগে ১৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই জঙ্গলমহল এলাকায় ছিল। তবে রাজ্য সরকার তাঁদের ফেরত পাঠিয়েছে।”

বস্তুত, দিন কয়েক ধরেই জঙ্গল মহলে মাওবাদীদের উপস্থিতি নিয়ে জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হাই অ্যালার্ট। কখনও পোস্টার পড়ছে, কখনও বা তাঁদের ভয়ে শাসকদলের নেতাদের অন্যত্র লুকিয়ে থাকার খবর সামনে এসেছে। শনিবার ঝাড়গ্রামে প্রথমে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার ও পরে এক শ্যুটআউটের ঘটনায় আরও তীব্র হয় এই আতঙ্ক। এরই মধ্যে মাওবাদী ইস্যু নিয়ে দিলীপ সুকান্ত দ্বৈরথ প্রকাশ্যে।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিক ইস্যুতে পদ্ম শিবিরের এই দুই নেতা ভিন্ন মত পোষণ করেছিলেন। দিলীপ ঘোষ এর আগে সুকান্ত মজুমদারকে ‘অনভিজ্ঞ’, তাঁর অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। সেই সময় রাজ্য-রাজনীতিতে যথেষ্ট আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। এরপর ফের মাওবাদী ইস্যুতে ভিন্ন মত শোনা গেল দুই নেতার গলায়।

আরও পড়ুন: Howrah Woman Death: জামাইয়ের একটা ফোনেই সন্দেহ হয়েছিল, পরে মেয়ের চরম পরিণতিতে কেঁদে কূল পাচ্ছেন না বাবা