কলকাতা: দোরগোড়ায় গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ৩ দিনের সফরে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন তিনি। সূ্ত্রের খবর, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতেই বেশ কয়েকটি দলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) গোয়াসফরকে এ বার তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণকালে দিলীপ বলেন, “ওঁ বরং গোয়াতেই থেকে যান। অত দামি বিমান কিনেছেন অভিষেকবাবু, কাজে লাগাতে হবে তো! তাই গোয়া-কলকাতা করছেন। ত্রিপুরার মানুষ তো উত্তর দিয়েই দিয়েছে। গোয়াতেও উত্তর দেবে মানুষ।”
উল্লেখ্য, অভিষেকের ‘কপ্টার সফর’ নিয়েও আগেও তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। উপনির্বাচন আবহে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ হেনে বলেছিলেন, “কপ্টারে চড়ে আসার টাকা পান কী করে অভিষেক? এই এত এত টাকার গোলমাল করেই কি কপ্টারের টাকা আসে! সামান্য উপনির্বাচন, আমরা তো ট্রেনে যাতায়াত করি। আর ওঁ ট্রেনে আসতে পারেন না!” এরপর ফের, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির তরফেও অনুরূপ মন্তব্য শোনা গেল।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই গোয়ায় পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ সাঙ্কেলিমের শ্রী রুদ্রেশ্বর মন্দিরে পুজো দেবেন অভিষেক। এরপর বিকেলে ৫ টা নাগাদ পর্তোগলি জীবোত্তম মঠে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও আরও কিছু দলীয় আভ্যন্তরীণ বৈঠকও রয়েছে তাঁর।
নতুন বছরেই গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন। যদিও চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। চলতি মাসেই তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই গোয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন সৈকত-রাজ্যে। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতানেত্রীরা। সেবার গোয়া থেকে ফিরেই পুরভোট প্রচারে অংশ নেন অভিষেক। রোড-শো শেষে জনসভায় অভিষেক বলেছিলেন, “আর কয়েক মাস পর বিধানসভা। গোয়ায় হয় তৃণমূল ক্ষমতা আসবে, নয়তো প্রধান বিরোধী শক্তি হবে। এর মাঝামাঝি কিছু হবে না।”
২০২২-এ গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনই এখন মমতার পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যেই বারবার সফর সে রাজ্যে। উপকূলের রাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো। ইতিমধ্যেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিওকে দলে টেনেছেন তিনি। লিয়েন্ডার পেজের পাশাপাশি প্রখ্যাত অভিনেত্রী নাফিসা আলি ও গোয়ার উদ্যোগপতি মৃণালিনী দেশপ্রভুও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কংগ্রেস ভেঙে আরও অনেকে এগিয়ে এসেছেন মমতার হাত ধরতে। সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোয়ার সংগঠনের জন্য। এ বার, অভিষেকের গোয়া সফরের নেপথ্যে যে দলীয় সাংগঠনিক রণনীতির আলোচনাই কারণ, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।