Dilip Ghosh On Gangasagar Mela: ‘এক বছর মেলা বন্ধ থাকলে ক্ষতি হত না, কিন্তু সংক্রমণ ছড়ালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে’, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ
Dilip Ghosh On Gangasagar Mela: "বলেছিলাম বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া উচিত। এক বছর মেলা বন্ধ থাকলে কিছু হত না কিন্তু সংক্রমণ হলে সেটা ভয়ঙ্কর। কোভিড সার্টিফিকেট দেখা উচিত মেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে। চেকিংটা মাস্ট করা উচিত।"
কলকাতা: শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছেই। গঙ্গাসাগর মেলা হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়া উচিত, এমনটাই মনে করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বলেছিলাম বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া উচিত। এক বছর মেলা বন্ধ থাকলে কিছু হত না, কিন্তু সংক্রমণ হলে সেটা ভয়ঙ্কর। কোভিড সার্টিফিকেট দেখা উচিত মেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে। চেকিংটা মাস্ট করা উচিত।”
প্রসঙ্গত, শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। এই তিন সদস্যের কমিটিতে থাকছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন।
তবে গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই একটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, যে প্রচুর লোক সমাগমে কীভাবে কোভিড বিধি মানা সম্ভব? বাইরে থেকে প্রচুর লোক আসেন। শুক্রবারের শুনানিতেও এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বেঞ্চ জানায়, মেলায় কোভিড বিধি মানা হয় কিনা, তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। নিয়ম অনুসারে কোনও ধর্মীয় স্থানে ৫০ এর বেশি লোক হওয়া যাবে না। সেই বিধি এক্ষেত্রেও মানতে হবে।
তবে এই ক্ষেত্রটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির বর্যীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষও। তাঁর মতে, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতি গঙ্গাসাগর মেলা আদৌ করা উচিত কিনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়া প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “আদালতের রায়কে সম্মান জানাই। তবে এটা বলতে পারি, এই শর্তগুলি তৈরি করবে কে? শর্ত যে তৈরি হবে, তা মানানোর দায়িত্ব কার? আমরা যে গতিতে এগোচ্ছিলাম, সেটা তরান্বীত হল।হয়তো নতুন কোন স্ট্রেনের জন্মলাভ হতে পারে? সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, আপনারা এই সুযোগ পেলেও না নেওয়া চেষ্টা করুন। তাতে আদালতের সম্মানও থাকবে, রাজ্য সরকারেরও থাকবে, আপনারাও সুরক্ষিত থাকবেন।”
আরও পড়ুন: Mukul Roy: দল পরিবর্তনই করেননি বিধায়ক, বোঝালেন মুকুলের আইনজীবী, ১ ঘণ্টা ধরে চলল দলত্যাগ শুনানি