Dilip Ghosh on MLA Hiran: ‘দলের কোনও মিটিং-মিছিলে থাকেন না, ডেকে ডেকে তাঁকে পাওয়া যায় না’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 06, 2022 | 9:33 AM

Kolkata: গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর সদর থেকে লড়ে জয়ী হন অভিনেতা হিরণ। সূত্রের খবর, এরপর থেকেই তাঁর বিধানসভা এলাকাতেই নানারকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। ওই এলাকারই সাংসদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

Dilip Ghosh on MLA Hiran: দলের কোনও মিটিং-মিছিলে থাকেন না, ডেকে ডেকে তাঁকে পাওয়া যায় না
হিরণকে তোপ দিলীপরে, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। মঙ্গলবারই দলীয় হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন  মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আগেই  গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন পাঁচ মতুয়া বিধায়কও। বুধবার গ্রুপত্যাগীর তালিকা আরও দীর্ঘ হয়। গ্রুপ ছাড়েন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গ্রুপ-ত্যাগ নিয়ে  বিজেপির রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)  বলেন, ‘যিনি গ্রুপ ছেড়েছেন। তিনি বলতে পারবেন। আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।’ এ বার, হিরণকে পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

দিলীপের কথায়, “কিছু হলেই এখন গ্রুপ ছেড়ে চলে যাবেন কেউ কেউ!  তাতে কার কী করার রয়েছে! তাছাড়া যিনি গ্রুপ ছেড়ে গিয়েছেন তাঁকে তো ডেকে ডেকে পাওয়া যায় না। দলের কোনও মিটিং মিছিলে অংশ নেন না তিনি। আগেও অনেকবার তাঁকে দলের কাজে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।”

কেন গ্রুপ ছাড়লেন হিরণ?

গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর সদর থেকে লড়ে জয়ী হন অভিনেতা হিরণ। সূত্রের খবর, এরপর থেকেই তাঁর বিধানসভা এলাকাতেই নানারকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। ওই এলাকারই সাংসদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শোনা যায়, তাঁর অনুগামীরাই নাকি কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন হিরণকে। দলেরই অপর গোষ্ঠী থেকে রাজনৈতিক চাপ আসছিল বলেও জানা যায়। এমনকি ‘হিরণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’, এ কথা লিখে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছিল এলাকায়।

এই সব নিয়েই অনেক দিন ধরে ক্ষোভ তৈরি হয় বিধায়কের। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে গিয়ে নেতাদের বারবার এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছিলেন বলেও ঘনিষ্ঠ নহল সূত্রে খবর। কিন্তু, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। এবার বাংলা বিজেপির গ্রুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এ ব্যাপারে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

কী বলছে বিজেপি?

গত কয়েকদিন ধরেই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, দলের অন্দরেই সেটা মিটিয়ে ফেলা হবে।

মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা ঘটেছে, তাতের দলের অন্দরের চিড় আরও প্রকট হয়েছে। একদিকে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন।  সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে।

আবার বিজেপির মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর হয় রাজ্য নেতৃত্ব। এক দিকে যখন মঙ্গলবার বিজেপির মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার আগেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের  সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ দিকে, জল্পনা উস্কে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বা অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা অদূর ভবিষ্যতে বিজেপিতে থাকবে না।’

আরও পড়ুন: Bengal BJP: ‘ঘাসফুলের বি-টিম, চলন বাঁকা’, বিজেপিতে বাড়ছে ‘বিদ্রোহ’, এ বার দলত্যাগ প্রাক্তন মোর্চা নেত্রীর

 

Next Article