কলকাতা: ছবি দেখিয়ে তৃণমূল দাবি করেছে, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর রাজভবনে যাওয়া-আসা ছিল। দু’টি পৃথক ছবির একটিতে দেবাঞ্জনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য নামক ব্যক্তিকে। দ্বিতীয় ছবিতে আবার সেই একই ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে রাজপালের একটি পারিবারিক ছবিতে। তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রমাণ করতে সিট গঠন করে তদন্তের কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর দাবি, ‘সব ব্যাপারেও তো সিট গঠন হয়। এ ক্ষেত্রেও সিট গঠন করুক না রাজ্য সরকার।’ তাঁর কথায়, ‘রাজ্যপালের কাছে কত লোকই তো যায়।’
গতকালই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ওই দুই ছবি দেখিয়ে অভিযোগ আনেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। আজ, সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কত লোকই তো যায়। ওদের লোক গিয়েছে, সরকারি অফিসারেরা যায়। বিভিন্ন দলের লোক যায়। কেন গেছেন, আর কবেকার ছবি সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া উচিত।’ তবে এর সঙ্গে যে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই, সে কথা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ ছুড়ে দিলীপের দাবি, ‘তৃণমূল যে লিস্ট দেখাচ্ছে বা তথ্য দিচ্ছে তা যদি কেউ বিশ্বাস করে। তাহলে দেবাঞ্জনের যা যা ছবি আছে সে সব মেনে নিতে হবে।’ উল্লেখ্য, একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে।
অন্যদিকে, হাওয়ালা-জৈন কাণ্ডে ধনখড়ের নাম ছিল বলে যে অভিযোগ তৃণমূল তুলেছে, তারও জবাব দেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘নারদা-কাণ্ডে চার নেতা মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে টিভিতে। তাদের নামে দোষ হল না, কোথায় ধনড়খের নাম কোন কাগজে বা ডায়েরিতে লেখা ছিল সেটা দেখছে মুখ্যমন্ত্রী। ওটাই যে এই ধনখড়,স এটা কোর্টে গিয়ে প্রমাণ করার কথাও বলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: রাজ সংঘাতের মাঝেই বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের সূচনা! রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে কি প্রস্তুত শাসকদল?
তৃণমূলের দাবি যে এই নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে নাকি কোনও বিশেষ ব্যক্তির কাছে উপহারও নাকি যেত। গোটা বিষয়টি তদন্তকারী সংস্থার গোচরে আনা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। যদি এই ছবি সত্যি হয়ে থাকে তবে তা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর বলে দাবি করেন সুখেন্দু।