Dilip Ghosh: কিছু বাম ও অতি বাম সমর্থক পড়ুয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছে: দিলীপ
Dilip Ghosh: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "যাদবপুরে কিছু বাম এবং অতি বাম সমর্থক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছে। এদের মদত দিচ্ছেন ডিন এবং কিছু অধ্যাপক।"
মহেশতলা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে গোটা ঘটনায় বাম সমর্থকদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন ডিন এবং অধ্যাপকদেরও। তাঁর কথায়, “যাদবপুরে কিছু বাম এবং অতি বাম সমর্থক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছে। এদের মদত দিচ্ছেন ডিন এবং কিছু অধ্যাপক।” দিলীপের কটাক্ষ থেকে ছাড়া পায়নি রাজ্য প্রশাসন থেকে শাসকদলও।
রবিবার বিকালে মহেশতলার মোল্লার গেটের দলীয় জনসভায় যান বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানেই নিজের বক্তব্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ একদিকে যেমন বাম ও অতি বাম সমর্থকদের কটাক্ষ করেন, তেমনই শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “ঐতিহ্যশালী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কত প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে পড়েন। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়েন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় নষ্ট করে দিচ্ছে তৃণমূল। চন্দ্রযানের সঙ্গে অনেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে ইসরো গিয়েছেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে তৃণমূল নষ্ট করে দিচ্ছে।” যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর প্রশাসনের সক্রিয়তা বেড়েছে বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ। তাঁর প্রশ্ন, “এতদিন তাঁরা কোথায় ছিলেন?”
আবার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বাংলাকে বিহারের সঙ্গে তুলনা করেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বারাসতে বোমার কারখানায় বোমা ফেটে কত লোক মারা গিয়েছে কেউ জানে না। বোমা, বিস্ফোরণ এখানে ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই এগরাতে বিস্ফোরণ হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় বোমা ফেটে বাচ্চাদের মৃত্যু হচ্ছে।” এপ্রসঙ্গেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে কটাক্ষ করে বিজেপি সাংসদ বলেন, “উত্তরপ্রদেশকে যারা লুঠের সাম্রাজ্য হিসাবে গড়ে তুলেছিল, বিহারকে সামাজিক অপরাধের মুক্তাঞ্চল হিসাবে গড়ে তুলেছিল, সেই অখিলেশ-নীতীশের সঙ্গে বসে চা বিস্কুট খাচ্ছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এ রাজ্যেও শুধুই অন্ধকার। অনুন্নয়ন। খুন, ধর্ষণ হয়েই চলেছে।”
চন্দ্রযানে সাফল্যের পর গোটা বিশ্বে যখন ভারত প্রশংসিত হচ্ছে, তখন বাংলার পরিস্থিতি তুলে ধরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “দেশ চন্দ্রযানে চলে যাচ্ছে, আর এরাজ্য জাহান্নামে যাচ্ছে।”