কলকাতা : অমিত শাহের (Amit Shah) রাজ্য সফরের আগে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৎপর বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। একগুচ্ছ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। কিছুদিন আগেই কলকাতার রাজপথে একসঙ্গে পা মিলিয়ে ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির সব নেতারা। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে একসঙ্গে পথে নেমেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা। তারপর বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ধর্না মঞ্চেও একসঙ্গে দেখা গেল বঙ্গীয় পদ্ম শিবিরের সব নেতাদের। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বুধবারের ধর্না মঞ্চ থেকে বললেন, “আগামী দুই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে আসার জন্য আমরা কিছুটা ব্যস্ত থাকব। তারপরে আবার আমরা আন্দোলন শুরু করব।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি আরও বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়ে ১৮ আসনে জিতিয়েছেন। সেই মানুষের সমর্থনে আমরা বিধানসভায় ৭৭ টি আসন পেয়েছি। তৃণমূলের এখন নতুন প্রকল্প এসেছে, ‘দিদি হটাও প্রকল্প’। দলের (তৃণমূলের) মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসছে অনেকের। তাঁর (মমতার) পার্টিও চাইছেন না ওনাকে। আমরা বলছি না, ওনার পার্টির ভিতর থেকে আওয়াজ উঠেছে। পিছনে লেখালেখি শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন নাটক শুরু হয়েছে। আপনাকে (মমতাকে) প্রধানমন্ত্রী হতে হবে, নেতারা অনেকেই বলছেন। আসলে যার মধ্যে ওনাকে বোঝাতে চাইছেন, আপনার সময় শেষ, ভাইপোর আসনে বসার সময় এসেছে।”
উল্লেখ্য, তৃণমূলের অভ্যন্তরে মমতা কবে প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর অভিষেক কবে তাঁর জায়গায় বসবেন… তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে শাসক দলের নেতাদের। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সম্প্রতি বলেছেন, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তারপর দায়িত্ব নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার অপরূপা পোদ্দারের ভবিষ্যদ্বাণী ২০২৪ সালেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অভিষেক। যদিও সেই নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হওয়ার পর সেই টুইটটি ডিলিট করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী অপরূপা পোদ্দার। এই নিয়েই বুধবার দুপুরে রাজ্যের শাসক দলকে জোর খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ।