কলকাতা: বিধানসভার অধিবশনে বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলা দিবস নিয়ে আজ আলোচনা রয়েছে বিধানসভায়। একইসঙ্গে আলোচনা হবে বাংলা সঙ্গীত (রাজ্য সঙ্গীত) কী হবে, তা নিয়েও। সব মিলিয়ে এদিন বিধানসভায় এক ঘণ্টা আলোচনার জন্য স্থির হয়েছে। শাসক পক্ষ নিজেদের বক্তব্য রাখার জন্য সময় পাবে আধ ঘণ্টা। কোন দিনটিকে বাংলা দিবস হিসেবে পালন করা হবে, সেই নিয়ে আজই চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে পারে রাজ্য বিধানসভায়। সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবির অর্থাৎ, বিজেপির পরিষদীয় দলের কী ভূমিকা থাকবে, সেই বিষয়টির দিকেও নজর থাকবে সকলের।
উল্লেখ্য, এর আগে যখন নবান্নে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল, তাতে অংশ নেননি বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিজেপির পরিষদীয় দলের ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আলোচনায় অংশ নেবেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি পরিষদীয় দলের অন্দরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, আলোচনার পর সেই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি চাইতে পারেন বিজেপি বিধায়করা।
ভোটাভুটি হলে বিধানসভার আসন সংখ্যার নিরিখে ক্ষমতাবলে শাসক দলের পক্ষেই তা যাবে। সেক্ষেত্রে হার নিশ্চিত জেনেও কেন ভোটাভুটির পক্ষে বিজেপি পরিষদীয় দল? রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ব্যাখ্যা, এতে বিজেপি বিধানসভায় তাদের অবস্থান রেকর্ড করিয়ে রাখতে পারবে। এছাড়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিধানসভার অলিন্দে বিরোধী শিবিরের বিক্ষোভ দেখানোর ভাবনা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজভবনে যেতে পারেন বিজেপির বিধায়করা। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানাতে পারেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় যাতে যত বেশি সম্ভব বিজেপি বিধায়করা উপস্থিত থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করছে পদ্ম শিবির। এখনও পর্যন্ত যা খবর, বিজেপির তরফে বক্তা হিসেবে থাকতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অন্যদিকে শাসক পক্ষের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই বলবেন বলে আপাতত স্থির রয়েছে। এসবের পাশাপাশি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীরও বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পাঁচ মিনিট বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।