Doctors’ Protest: অবস্থা আশঙ্কাজনক, এই পরিস্থিতি থাকলে কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা! জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
Doctors' Protest: চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
কলকাতা: ১১৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। উৎসবের মরশুমেও জারি প্রতিবাদ। বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। তাই সপ্তমীর সকালেও একই চিত্র ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা বিপজ্জনক। তাঁকে পরীক্ষা করে জানালেন আরজি করেরই চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী। ইতিমধ্যেই অনশনকারীদের জন্য এসএসকেএম- এ চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
ইতিমধ্যে লিভারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অনিকেতের। চিন্তায় চিকিৎসকরাই। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন অনিকেত-সহ বাকি অনশনকারীরা। চিকিৎসক এও জানিয়েছেন, কেবল অনিকেতই নয়, অনশনকারী বাকিদের শারীরিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে।
ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বর্তমানে সাত জন অনশন চালাচ্ছেন। ১১৩ ঘণ্টা ছাড়িয়ে গিয়েছে তাঁদের এই কর্মসূচি।
ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার জন্য অনুরোধ করছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। অন্যদিকে, বুধবার রাতে অনশন মঞ্চে যান খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনিও অনশনকারীদের অনশন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন। যদিও সবিনয়ে রাজ্যপালের আবেদন ফিরিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ষষ্ঠী পেরিয়ে সপ্তমী। অনশনকারীদের পাশে কেবল আত্মার টানে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার রাতে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠক নিয়ে আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মধ্যরাতে বৈঠক শেষে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি বৈঠক। ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বিচারের ১০ দফা দাবি। আর কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি।