Gariahat Double Murder: তদন্তে নেমে বালিগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে গেল পুলিশ কুকুর! তবে কি এই পথেই পালিয়েছে আততায়ীরা?

Dog Sqaud: পুলিশ কুকুর নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি থ্রি ডি মডেলিংয়ের জন্য যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে।

Gariahat Double Murder: তদন্তে নেমে বালিগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে গেল পুলিশ কুকুর! তবে কি এই পথেই পালিয়েছে আততায়ীরা?
গড়িয়াহাটে হাড় হিম করা জোড়া খুনের তদন্তভার নিল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 10:04 AM

কলকাতা: একমাত্র ছেলে লন্ডনে থাকেন। তিনি এসে পৌঁছলে তারপর বাবার শেষকৃত্য হবে। আপাতত গড়িহাটের কাঁকুলিয়া রোডের (Gariahat Murder Case) সুবীর চাকির ক্ষতবিক্ষত দেহ শোওয়ানো রয়েছে তপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ডে। তবে কী ভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটল, কারা জড়িত থাকতে পারে, তা নিয়ে এখনও সূত্রহীন পরিবার। তদন্তকারীদের মনেও ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। ডগ স্কোয়াড নিয়ে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। পুলিশ কুকুর নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি থ্রি ডি মডেলিংয়ের জন্য যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।

কলকাতা পুরসভার ৯০ নম্বর ওয়ার্ড। গড়িয়াহাট থানা এলাকার ৭৮ এ কাঁকুলিয়া রোড। সেখানেই জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে রবিবার। নিহতদের নাম সুবীর চাকি এবং রবীন মণ্ডল। সুবীর ছিলেন এক বেসরকারি শিল্পসংস্থার কর্তা। রবীন ছিলেন তাঁরই গাড়ির চালক। বাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুবীর চাকির দেহ। তিন তলার ঘরে পাওয়া যায় তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের দেহ। দু’জনের শরীরেই ধারাল অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পান তদন্তকারীরা।

এদিন ৭৮ এ কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটিতে পুলিশ কুকুর পৌঁছনোর পরই সে সোজা চলে যায় বালিগঞ্জ রেল স্টেশনের দিকে। অদ্ভুতভাবে সেই স্টেশনের এক এবং দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাঘুরি করে পুলিশ কুকুরটি ফিরে আসে ঘটনাস্থলে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি খুনের ঘটনার পর আততায়ীরা এই কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ রেল স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরে গা ঢাকা দিল? বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পাশাপাশি বেশ কিছু অত্যাধুনিক সরঞ্জামও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে মঙ্গলবার। মূলত থ্রিডি মডেলিংয়ের জন্য এগুলি এনেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। টেকনিক্যাল এক্সপার্টরাও ঘটনাস্থলে এসেছেন। তাঁরাই এই গ্রাফিক্স তৈরি করবেন। কাঁকুলিয়া রোডের তিন তলা বাড়ির একতলা থেকে শুরু করে তিনতলা পর্যন্ত প্রত্যেকটি ঘরের একটা অবয়ব তৈরি করার চেষ্টা করা হবে। বোঝার চেষ্টা করা হবে ঘটনার সময় ঘরে কতজনের উপস্থিতি ছিল। তাদের কার কোথায় অবস্থান ছিল। যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়, সেখানেই বা কতজন ছিল। একজন আততায়ীর এই কাজ নাকি, একাধিকজনের উপস্থিতিতে এই ঘটনা সবটাই বোঝার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

সোমবারই প্রাথমিক পর্বের তদন্ত প্রক্রিয়া চলেছে। ফরেন্সিক টিম ছিল, ময়না তদন্তের প্রথম রিপোর্টও এসেছে। ইতিমধ্যেই জোড়া খুনের ঘটনায় ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে স্পষ্ট ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল সুবীর চাকি ও রবীন মণ্ডলকে। তদন্তকারীদের অনুমান, রবিবার সন্ধ্যায় খুন করা হয় দু’জনকে। সুবীর চাকির পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই যে তথ্য উঠে এসেছে, রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তিনি বলে এসেছিলেন, বাড়ি সংক্রান্ত কথাবার্তা হবে কারও সঙ্গে। সেই সাক্ষাতের জন্যই কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে যাচ্ছেন। তবে কার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সুবীর চাকি, সেটাই নির্দিষ্ট করে জানতে চান তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: পুজোয় জমিয়ে গলায় ঢেলেছে সুরাপ্রেমীরা! পাঁচদিনে ১০০ কোটি আয় রাজ্যের