Dumping Ground: দুর্গন্ধে টেকা দায়! জানালা খুললেই ঘর ভরে যায় পোড়া ধোঁয়ায়, দ্বিতীয় বেলগাছিয়া হবে না তো! আশঙ্কায় দমদম

Ranjit Dhar | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 24, 2025 | 7:42 PM

Dumping Ground: বিশাল আবর্জনার স্তূপে সব বর্জ্য একই সঙ্গে প্রসেস করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এই আবর্জনা স্তূপে মিথেন গ্যাস জমা হয়ে আগুন ধরে যায়। সারাক্ষণ দুর্গন্ধ এবং ঘন ধোঁয়ায় স্থানীয় অঞ্চল ছেয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।

Dumping Ground: দুর্গন্ধে টেকা দায়! জানালা খুললেই ঘর ভরে যায় পোড়া ধোঁয়ায়, দ্বিতীয় বেলগাছিয়া হবে না তো! আশঙ্কায় দমদম
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই বিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ড
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দমদম: সম্প্রতি হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডের রাসায়নিক মাটিতে মিশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে আতঙ্ক বেড়েছে কলকাতা সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায়। দিনের পর দিন ময়লা জমে জমে পাহাড় হয়েছে। তার থেকে বড় ক্ষতি হতে পারে, সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। ফলে দমদমের প্রমোদনগরে বাসিন্দারাও প্রমাদ গুণছেন। এমনিতেই গন্ধ আর ধোঁয়ায় টিকতে পারেন না তাঁরা।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার তিন নম্বরে ওয়ার্ডের প্রমোদনগরে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই রয়েছে বিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা ধাপা। সেখানে দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, দমদম পুরসভা সহ আরো কয়েকটি পুরসভার আবর্জনা জড় করা হয়। নিয়ম মতো পচনশীল বর্জ্য, অপচনশীল বর্জ্য, মেডিক্যাল বর্জ্য এবং প্রাণিজ বর্জ্য আলাদা আলাদাভাবে ফেলার কথা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাস্তবে সেই নিয়ম কি সত্যিই মেনে চলা হয়? প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।

বিশাল আবর্জনার স্তূপে সব বর্জ্য একই সঙ্গে প্রসেস করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এই আবর্জনা স্তূপে মিথেন গ্যাস জমা হয়ে আগুন ধরে যায়। সারাক্ষণ দুর্গন্ধ এবং ঘন ধোঁয়ায় স্থানীয় অঞ্চল ছেয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, গন্ধে টেকা যায় না। আবর্জনা যখন পোড়ানো হয়, তখন ধুলো ঘরের মধ্যে চলে আসে। দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে স্থানীয় গ্রীন নাগরিক নামে একটি সমাজসেবামূলক সংস্থা একটি মামলা করে। তাদের দাবি ছিল, পরিবেশ রক্ষা করতে হবে এবং এই ধাপা সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ২০২০ সালে ট্রাইবুনাল তাদের রায়ে সরকারকে এক কোটি টাকা জরিমানা করে এবং ধাপা বা ডাম্পিং গ্রাউন্ড ২ বছরের মধ্যে সরিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পার্শ্ববর্তী আদর্শ নগরের বাসিন্দা এবং গ্রীন নাগরিক সংস্থার কার্যকরী সম্পাদক নীলাদ্রি রায় এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কর্তৃপক্ষ এই রায়টিকে যেন বিদ্রুপে পরিণত করে ঠিক পাশের জমিতেই আর একটি ধাপা তৈরি করে।”