Durga Puja: সাংহাই, আবুধাবিতেও যাচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গাপ্রতিমা, আগমনীর জন্য সেজে উঠছে প্রবাসও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Sep 20, 2023 | 2:07 PM

Durga Puja 2023: প্রতি বছররের মতো কুমোরটুলিতে এবারও বায়না এসেছে ভিন দেশ থেকে। চীনের সাংহাই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতেও প্রতিমা যাচ্ছে কুমোরটুলি থেকে। মাটির নয়, ফাইবারের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা যাচ্ছে চিনে, আবুধাবিতে।

Durga Puja: সাংহাই, আবুধাবিতেও যাচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গাপ্রতিমা, আগমনীর জন্য সেজে উঠছে প্রবাসও
কুমোরটুলির দুর্গা প্রতিমা যাচ্ছে বিদেশে
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: পুজোর বাকি আর মেরেকেটে এক মাস। শহর থেকে শহরতলি, সব জায়গাতেই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেজে উঠছে পুজো মণ্ডপগুলি। শুধু বাংলাতেই নয়, প্রবাসেও শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়। বাংলার থেকে বহু ক্রোশ দূরে বিদেশ-বিভুঁইয়েও এই পুজোর মরশুমে শিকড় খুঁজে পান প্রবাসীরা। কুমোরটুলিতে এবারও বায়না এসেছে ভিন দেশ থেকে। চিনের সাংহাই, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবু ধাবিতেও প্রতিমা যাচ্ছে কুমোরটুলি থেকে। মাটির নয়, ফাইবারের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা যাচ্ছে চিনে, আবুধাবিতে।

প্রবাসে যাচ্ছে কুমোরটুলির প্রতিমা

কুমোরটুলির প্রতিমাশিল্পী প্রশান্ত পালের নামডাক যথেষ্ট। নিপুণ শৈলী। সুদক্ষ হাতের কাজ। প্রায় প্রতিবছরই তাঁর হাতে তৈরি প্রতিমা যায় প্রবাসে। এবারও যাচ্ছে। প্রতিমাশিল্পী প্রশান্ত পাল জানাচ্ছেন, চিনে বা আবুধাবিতে দুর্গাপুজো হয়। তবে খুব একটা বেশি প্রতিমা যায় না। বলছেন, “চিনে ঠাকুর খুব কম যায়। সেখানকার পুজো উদ্যোক্তারা বেশিরভাগ অনলাইনে দেখেই যোগাযোগ করেন। আবু ধাবিতেও বড় একটা প্রতিমা যায় না। আমি অনেকদিন ধরেই বাইরের দেশে প্রতিমা পাঠাই। ফলে একটা পরিচিতি আছে।”

প্রবাসে যাচ্ছে কুমোরটুলির প্রতিমা

এই ধরনের প্রতিমাগুলি বেশিরভাগই যায় জাহাজে। ছোটখাটো মাপের প্রতিমা হলে, বিমানেও যায়। তবে তা খুবই কম। বেশিরভাগই যায় জাহাজে। তাই পুজোর অন্তত এক মাস আগে থেকে পাঠিয়ে দিতে হয় দেবী প্রতিমা। আর বায়না নেওয়া হয়, অন্তত তিন মাস আগে থেকে। ফাইবারের এই দেবী প্রতিমা বানাতে বানাতেও একমাস সময় লেগে যায়।

প্রবাসে যাচ্ছে কুমোরটুলির প্রতিমা

প্রবাসের পুজো আমাদের কলকাতার থিম পুজোর মতো নয়। পঞ্জিকা, তিথি দেখেও সেভাবে আয়োজন করা প্রবাসের পুজো আমাদের কলকাতার থিম পুজোর মতো নয়। পঞ্জিকা, তিথি দেখেও সেভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না সবসময়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক দিনেই গোটা চারদিনের পুজো হয়। পুজোর আয়োজন হয় কোনও কমিউনিটি হলে। সপ্তাহের ছুটির দিনটাতেই মূলত পুজোর আয়োজন করা হয়। এলাকার সব প্রবাসী বাঙালিরা সেখানে যান। সকলে মিলে আনন্দ করেন। প্রবাসে থেকেই এক টুকরো ঘরের ছোঁয়া খুঁজে পান তাঁরা এই দুর্গাপুজোর সময়।

Next Article