Durga Puja 2022: একে রবিবার, তার উপর মহালয়া, শ্রীভূমিতে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়
Durga Puja 2022: কোভিডের কড়াকড়ির পরে এ বছরই প্রথম বিধিনিষেধ ব্যতিরেকে পুজো হচ্ছে গোটা রাজ্যে। তাই পুজোর আনন্দও যে দ্বিগুণ হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কলকাতা: পুজো (Durga Puja 2022) শুরু হতে বাকি এখনও ৬ দিন। কিন্তু, একে রবিবার, তার উপর মহালয়া। আর এই সুযোগে প্যান্ডেল হপিংয়ের সুযোগ একবিন্দুও হাতছাড়া করতে নারাজ পুজো পাগল বাঙালি। শ্রীভূমির (Sreebhumi Sporting Club) ভিড়ের ছবি দেখে কার্যত সেটাই মনে হচ্ছে। মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং। নতুন জামা পড়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। এদিকে গতবারের মতো এবার কলকাতার আকর্ষণীয় পুজোগুলির মধ্যে শীর্ষ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাব। গত বৃহস্পতিবারই এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার পর থেকেই এই পুজো নিয়ে নতুন উন্মদনার ছবি ধরা পড়ছে কলকাতাবাসীর মনে। তবে কলকাতার পাশাপাশি অন্যান্য জেলার দর্শনার্থীদের মধ্যে বিগত কয়েক বছরে এই পুজো নিয়ে যথেষ্ঠ উন্মদনার ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এবারও মহালয়া থেকেই ফের ফিরল সেই চেনা ছবি।
এদিকে গত বছর এই পুজোয় দর্শনার্থীদের এতটাই ঢল নেমেছিল যে শেষ পর্যন্ত মণ্ডপের দরজা বন্ধ করতে দিতে বাধ্য হয়েছিল পুজো উদ্যোক্তারা। এবারও মহলয়াতে সেখানে যে ছবি দেখতে পাওয়া তাই যেন বলছে ফের ফিরতে চলেছে গতবারের স্মৃতি। ঢল নামতে চলছে দর্শনার্থীদের। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে এবারে ভ্যাটিক্যান সিটির আদলে তৈরি করেছে তাঁদের পুজো মণ্ডপ। রবিবার মহালয়ার দিনে টালিগঞ্জ, সোনারপুর, চন্দননগর থেকে বহু দর্শনার্থী এসেছেন শ্রীভূমির পুজো দেখতে। তবে উদ্বোধনের পরও প্যান্ডেল পুরোপুরি তৈরি নয় দেখে কেউ কেউ ক্ষুন্ন ঠিকই তবে বন্ধু,পরিবারের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া আড্ডায় মজে সেই না পাওয়াকে পুষিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।
এদিকে কোভিডের কড়াকড়ির পরে এ বছরই প্রথম বিধিনিষেধ ব্যতিরেকে পুজো হচ্ছে গোটা রাজ্যে। তাই পুজোর আনন্দও যে দ্বিগুণ হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শ্রীভূমির পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “শ্রীভূমিতে মায়ের গয়না দেখার জন্য মানুষের মধ্যে একটা বড় প্রত্যাশা থাকে। সকলের মধ্যে এটা নিয়ে আকর্ষণ থাকে। মহিলারাও খুব পছন্দ করেন। বিভিন্ন বিখ্যাত সোনার গয়না প্রস্তুতকারক কোম্পানিরা মায়ের গয়না দিয়ে থাকে। আমাদের ৫০ বছরের এই পুজোর উদ্বোধন করে গিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আমরা ঠিক করেছিলাম। দেবীপক্ষে আমরা মাকে গয়না পরাবো। সেই অনুযায়ী কাজ চলছে।”