DYFI: আকারে-আয়তনে তরতরিয়ে বাড়ছে DYFI, এক বছরে ১ লাখেরও বেশি নতুন সদস্য
Minakshi Mukherjee: মীনাক্ষী বলছেন, 'কাজের দাবিতে, শিক্ষার দাবিতে আমরা লড়াইয়ে আছি। বাম যুব সংগঠনের উপর সাধারণ যুবকদের বিশ্বাস ও আস্থা বাড়ছে।'
কলকাতা: বিধানসভায় বামেরা শূন্য হয়ে গিয়েছে। তবে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর সদস্য সংখ্যা বাড়ল অনেকটাই। ২০২২ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) সদস্য সংখ্যা ৩০ লাখ ৩ হাজার ৭২০। শুধু গত বছরেই সদস্য সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হিসেব করলে, ৩ লাখের বেশি সদস্য সংখ্যা বেড়েছে ডিওয়াইএফআই-এর। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বাম যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। বললেন, ‘স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল। সাধারণ যুবকরা নিজেরাই এসে ডিওয়াইএফআই-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। কাজের দাবিতে, শিক্ষার দাবিতে আমরা লড়াইয়ে আছি। বাম যুব সংগঠনের উপর সাধারণ যুবকদের বিশ্বাস ও আস্থা বাড়ছে।’
বাম যুব নেত্রীর কথায়, ডিওয়াইএফআই যেভাবে একেবারে মাটিতে নেমে যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, এই পরিসংখ্যান তারই ফলশ্রুতি। প্রসঙ্গত, অতীতে বামেরা বার বার অভিযোগ তুলেছে পঞ্চায়েতের নির্বাচনে সন্ত্রাস ও অশান্তির। ডিওয়াইএফআই-এর এই বাড়তি সদস্য সংখ্যা কি পঞ্চায়েতের ভোটের ময়দানে দেখা যাবে? প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী জানালেন, ‘মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিক। ডিওয়াইএফআই রাস্তায় থাকবে, বুথের বাইরে থাকবে। যাঁরা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে চাইবে, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য় ডিওয়াইএফআই তৈরি।’
মীনাক্ষীর বক্তব্য, গোটা রাজ্যের যুব সম্প্রদায় প্রস্তুত। ডিওয়াইএফআই-এর কর্মশালাগুলিতে কর্মসংস্থান ও শিক্ষার দাবিতে সাধারণ যুবরা জোট বাঁধছে, সেই কারণেই ডিওয়াইএফআই-এর সদস্য সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি তাঁর। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রতিটি পঞ্চায়েত ভিত্তিক বাহিনী তৈরি করছে ডিওয়াইএফআই। বিশেষ করে মালদা ও কলকাতা জেলার সদস্যসংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে বিজেপি ও তৃণমূলের দ্বিমুখী লড়াই হবে না, সেই বার্তাটাই এদিন বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, প্রতিটি বুথের বাইরে প্রস্তুত থাকবে বাম যুবরা। শুধু সদস্য সংখ্যাই নয়, ডিওয়াইএফআই-এর পত্রিকা ‘যুবশক্তি’র গ্রাহক সংখ্যাও তরতরিয়ে বাড়ছে। গত বছরেই সাত হাজার থেকে বেড়ে ১৮ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে বাংলায় যুবশক্তির গ্রাহক সংখ্যা।