কলকাতা: ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেস জোটের শক্তি পরীক্ষার মোক্ষম হাতিয়ার এই জনসভা। টার্গেট ১০ লক্ষ। ভিক্টোরিয়া মুখী বিশাল সবুজতায়নে যেন ‘টাক’ না দেখা যায়, সেই জন্য মরণপণ লড়াইয়ে সিপিএম (CPIM)। মাঠ ভরিয়ে দিতে কোনও রকম কোনও ফাঁক ফোকর রাখছে না ছাত্রযুবরাও। ইতিমধ্যেই সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছে পলিটিক্যাল প্যারডি ‘টুম্পা (Tumpa) ব্রিগেড চল।’ এবার ব্রিগেডের ৭২ ঘণ্টা আগে ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) উদ্যোগে বাজারে এল পিকু দা ও বাবাইয়ের কার্টুন।
সিপিএম ২৮ তারিখের জনসভার নাম দিয়েছে পিপলস ব্রিগেড (28th February Brigade)। ডিওয়াইএফআই বলছে, এই ২৮ ফেব্রুয়ারি দল বদলের নয়, দিন বদলের ব্রিগেড। সেই সূত্র ধরেই ব্রিগেডের প্রচারে সোশ্যাল ছেয়ে যাচ্ছে পিকু দা ও বাবাইয়ের কার্টুনে।
আরও পড়ুন: ব্রিগেডের আগের দিন আইএসএফ-র সঙ্গে আসন রফায় বসবে কংগ্রেস
ডিওয়াইএফআই নেতা শ্রীজীব গোস্বামীর কথায়, “মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ বেরিয়ে আসছে। পাড়ার পর পাড়া মুড়ে যাচ্ছে লাল পতাকায়। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলছে দেওয়াল লেখ। অনেক দিন পর এই মনোভাব দেখছি। মানুষের মধ্যে সামগ্রিক ভাবে সাড়া পড়েছে।” সঙ্গে তিনি জুড়েছেন, “মিডিয়া ছাড়া বিজেপি কোথাও নেই। ওদের কোনও কর্মী নেই। যারা আছে তারা কনট্রাকচুয়াল ওয়ার্কার।”
আরও পড়ুন: ‘তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়’, শাহকে বিঁধলেন অভিষেক
খালি পেটে ভাত, খালি হাতে কাজ – এই দাবি বাম ছাত্রযুবদের দীর্ঘদিনের। ব্রিগেডের আগে আরও একবার সেই দাবিই কার্টুনে তুলে দিয়ে ‘ব্যাক টু বেসিক’-এ ফিরছে বামেরা। সঙ্গে তাঁরা জুড়েছে নারদ স্টিংয়ে তৃণমূল নেতাদের তোওয়ালেতে মুড়িয়ে টাকা নেওয়া প্রসঙ্গ। ৫ বছর চাকরি নেই! যাও বা হয়েছে, সেটাও পেয়েছে তৃণমূল নেতার আত্মীয়রাই! এই সব ক্ষোভ উস্কেই বামেরা লাখ লাখ বাবাইদের জনসভায় এনে কালো মাথায় ভড়িয়ে দিতে চাইছে ব্রিগেড। আর সেই উদ্দেশেই টুম্পার পর এল বাবাই। গানের পর এবার অস্ত্র কার্টুনও।