ED Raid: ‘পুণ্যদিনে পুণ্য কাজ’, শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, কুণাল বললেন, ‘রাজনৈতিক স্ক্রিপ্ট’

Suvendu Adhikari Reaction: বিরাটির খালাসিটোলায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছেছে ইডি। সুবোধ উত্তর দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে অল আউট অ্যাকশনে ইডি। আর তাতেই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। 

ED Raid: ‘পুণ্যদিনে পুণ্য কাজ’, শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, কুণাল বললেন, ‘রাজনৈতিক স্ক্রিপ্ট’
কী বলছেন কুণাল-শুভেন্দু? Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2024 | 11:19 AM

কলকাতা: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে ফের তেড়েফুঁড়ে ইডি। সন্দেশখালি কাণ্ডের ঠিক সাত দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অ্যাকশন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর লেকটাউনের দুটি বাড়িতে, তাপস রায়ের বউবাজারের বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি টিম। বিরাটির খালাসিটোলায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছেছে ইডি। সুবোধ উত্তর দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে অল আউট অ্যাকশনে ইডি। আর তাতেই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা

চোরেদের বাড়িতে ইডি যাবে। এটা পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে তল্লাশি চলছে। ভাইপো ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের বাড়িতে  পুরসভায় নিয়োগের যে হার্ড ডিস্ক ও তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, তার ভিত্তিতে সিবিআই হাইকোর্টে যায়। সিবিআই-এর দাবি ছিল, এটা আলাদা মামলা করতে হবে, এসএসসি কিংবা প্রাথমিক নিয়োগে এটা আনা যাবে না। ফিরহাদ হাকিমের দফতর পরে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেই আবদার খারিজ হয়। তদন্ত ইডি-সিবিআই করে। সিবিআই প্রাথমিকভাবে যা তদন্ত করে, তা পিএমএলএ অ্যাক্টে ইডি-র হাতে হস্তান্তরিত করে। সুজিত বসুর পিএ, দক্ষিণ দমদমের চেয়ারম্যান পাঁচুবাবু-সহ তাঁদের কাছ থেকে মেটেরিয়াল পেয়েছেন বলে, আজে পুণ্যকাজ করতে ভোর ভোর বেরিয়ে পড়েছেন।

দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ

স্লোগান শুনতাম, খেলা হবে-খেলা হবে। কিন্তু কবে হবে? এখন খেলা শুরু হয়েছে। খেলা চলবে এখন। দুর্নীতে বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছেয়ে গিয়েছে। এখন চলবে, যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁরা কেউ ছাড়া পাবেন না। দুর্নীতি মুক্ত বাংলা হবে।

সজল ঘোষ, বিজেপি কাউন্সিলর

ইডি যাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন, এমনি এমনি তো চালাচ্ছেন না। কিন্তু কোনও প্রমাণ পেয়েছেন, তাই চালাচ্ছেন। তবে আমি ওঁদের মধ্যে কয়েকজনকে দুর্নীতিগ্রস্ত নন বলেই মনে করতাম, এখন ভাবতে কষ্ট হয়। ইডি-সিবিআই গেলে স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন ওঠে।

শশী পাঁজা, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে হচ্ছে। আর একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে হচ্ছে। এটা জলের মতো পরিষ্কার।

কুণাল ঘোষ, তৃণমূলের মুখপাত্র, সাংসদ

সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই। এই তল্লাশি চলছে রাজনৈতিক স্ক্রিপ্টের ওপর দাঁড়িয়ে। বিজেপি নেতারা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকা কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে, আর একটা নেগেটিভ মহল তৈরি করার জন্য তার ভিত্তিতে চলছে তল্লাশি। বিজেপি আসলে পারছে না লড়তে।