Election Commission: কীভাবে তালিকায় ১০২ ভুয়ো ভোটার? ERO-দের তলব কমিশনের
Election Commission: নন্দকুমার বিধানসভায় ৫৯ জন এবং রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভায় ৪৩ জন ভোটারের ক্ষেত্রে এই অসংগতি রয়েছে ৷ এই সমস্ত ভোটারদের তথ্য যাচাই করার জন্য বিএলও-দের পাঠানোই হয়নি ।

কলকাতা: বারুইপুর, ময়নার পর আরও দুই বিধানসভায় ভুয়ো ভোটারের খোঁজ। CEO দফতরে তলব আরও দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ও উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভায় ভুয়ো ভোটারের হদিশ মিলেছে। কীভাবে তালিকায় এল ১০২ জন ভুয়ো ভোটার, জানতে চেয়ে তলব দুই বিধানসভার দায়িত্বে থাকা ERO-কে। BLO-রা কি আদৌ যাচাই করেছিলেন নথি? খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। গাফিলতি প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা ERO-দের বিরুদ্ধে, খবর কমিশন সূত্রে।
নন্দকুমার বিধানসভায় ৫৯ জন এবং রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভায় ৪৩ জন ভোটারের ক্ষেত্রে এই অসংগতি রয়েছে ৷ এই সমস্ত ভোটারদের তথ্য যাচাই করার জন্য বিএলও-দের পাঠানোই হয়নি । কমিশন সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের বিরুদ্ধে FIR-এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুই ERO-র বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ করা হয়।
অভিযোগ উঠছে, নন্দকুমার ও রাজারহাট-গোপালপুরের দায়িত্বে থাকা ERO-রা তাঁদের নিজেদের যে আইডি রয়েছে, সেটা শেয়ার করেছিলেন। এবং অস্তিত্ব ভোটারদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজে এই দুই ERO ই যুক্ত রয়েছেন বলে, মনে করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে কমিশন।
উল্লেখ্য, এর আগে ঠিক একই রকম ভাবে বারুইপুর ও ময়নার ক্ষেত্রে ভুয়ো ভোটারের হদিশ মিলেছে। সেক্ষেত্রেও ERO-দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। SIR সংশোধন জল্পনার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায়, স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

