Election Commission: ‘নাম ডগবাবু, বাবার নাম কুত্তাবাবু’, এমন কোনও ভোটার কি সত্যিই আছে? নথি দেখাল কমিশন
Election Commission: বর্তমানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা, বাংলা বলায় পরিযায়ী শ্রমিক বলে আটকে রাখার মতো ঘটনা সামনে আসতেই বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতা: বিহারের SIR-এ কুকুর-ট্রাক্টর। যার একজনের নাম ডগবাবু, বাবার নাম কুত্তাবাবু, আর মা কুত্তিয়াদেবী। তৃণমূল এই দাবি করেছিল। এবার শাসকদলের সেই অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। বিহারের কোনও ভোটার এই ধরনের তথ্য দেননি নাম তোলার জন্য। নথি দেখিয়ে দাবি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা, বাংলা বলায় পরিযায়ী শ্রমিক বলে আটকে রাখার মতো ঘটনা সামনে আসতেই বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এসআইআর নিয়েও কড়া অবস্থান নিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সরব হন। অভিষেক বলেন,”এসআইআরের নাম করে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে কুকুরের নামে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করছে।”
কুকুরের নামে আধার কার্ড! অভিষেক এই দাবি তুললেই কার্যত তোলপাড় হয় রাজনীতি। এরপর বুধবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয় এই রকম কোনও নথি বাসিন্দা হিসাবে কেউ দেননি। এটা সম্পূর্ণ ভাবে ভুল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই তথ্য জাল না সত্যি এটা তো বলতে পারল না। বিহার সরকার একজনের নামে সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। যার একজনের নাম ডগবাবু, বাবার নাম কুত্তাবাবু, আর মা কুত্তিয়াদেবী। যার জেলা পাটনা। পিনকোড-পোস্ট অফিস সব রয়েছে। এমন সার্টিফিকেটে ডিজিটালই ইস্যু হয়েছে বিহার সরকারের নামে। ২০২৫ এ এই সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে কি হয়নি তা নিয়ে কমিশন একবারও মুখ ফুটে বলছেন না।” বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “ওরা বুঝে গেছে ভোটার লিস্টে সংশোধনের কাজ হলে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা শেষ হয়ে যাবে। তাই ওরা মিথ্যাচার করছে। পাগল হয়ে গিয়েছে।”

