৫ হাজার টাকা আর একটা বাইক দিলেই কলকাতা পুলিশের চাকরি!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 24, 2021 | 7:19 PM

Fake Police: দেখা যাচ্ছে, সরকারি বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের পরিচয় দিয়েই প্রতারণার জাল বুনেছেন অনেকে।

৫ হাজার টাকা আর একটা বাইক দিলেই কলকাতা পুলিশের চাকরি!
নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। এই ঘটনায় বিনয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ব্যক্তি ৫ হাজার টাকা ও মোটর বাইক নিয়েছিল বলে অভিযোগ।

যাদবপুরের বিজয়গড়ের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের কল্যাণ গুহ। তিনিই যাদবপুর থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। কল্যাণ গুহের অভিযোগ ছিল, বিনয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি নিজেকে কলকাতা পুলিশের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেন। ওই ব্যক্তি কল্যাণবাবুর ছেলে কৃষ্ণেন্দু গুহকে কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর বদলে ৫ হাজার টাকা নেন তিনি।

একই সঙ্গে একটি মোটর বাইকও নেন বলে অভিযোগ। যদিও কল্যাণবাবুর দাবি অগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই টাকা ও বাইক নিয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু মাস শেষ হতে চলল। এখনও তাঁর ছেলের কোনও চাকরির প্রক্রিয়া শুরু হয়, চাকরি পাওয়া তো অনেক দূরের বিষয়। এদিকে অভিযুক্ত এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। মোটর বাইকটিও ফেরাতে চাইছেন না। এরপরই পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানান তিনি। বিনয় চক্রবর্তীর নামে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। জানা গিয়েছে বিনয় চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। সেখান থেকে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে ওই ৫ হাজার টাকা ও একটি মোটর বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আইএএস পরিচয় দিয়ে প্রতারণার জাল ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে কসবার দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এখনও রাজ্যে শোরগোল বহাল। কসবার একটি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের তদন্তে নেমে দেবাঞ্জনকে খুঁজে পান তদন্তকারীরা। এরপরের গোটা ঘটনাপ্রবাহ ভাবিয়ে তুলেছে দুঁদে তদন্তকারীদের। কিছুদিন আগে ডিএসপি পরিচয় দিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা অভিযোগ ওঠে এই শহরেই। রাজ্য পুলিশের হোম গার্ড পদে নিয়োগের জন্য বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলার অভিযোগ ওঠে চার ভুয়ো ডিএসপির বিরুদ্ধে। বউবাজার থানার পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতারও করে।

অভিযোগ উঠেছিল, ডিএসপি পরিচয় দিয়ে হোম গার্ডে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করেন চার ভুয়ো পুলিশ কর্তা। মেদিনীপুর ও কলকাতার চাঁদনি চকের একটি হোটেলে তাঁদের ডেকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন প্রতারিত। অভিযুক্তদের কাছ থেকে কিছু ভুয়ো নথি, নকল আবেদনপত্র উদ্ধার হয়। তা ছাড়াও তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি খাকি টুপি ও বেল্ট। ফের শহরে পুলিশে কর্মরতের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। দেখা যাচ্ছে, সরকারি বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের পরিচয় দিয়েই প্রতারণার জাল বুনেছেন অনেকে। পুলিশ এমনকী সিবিআই সেজেও চলছে প্রতারণা। রাজ্য জুড়ে একটি প্রতারণা চক্র কাজ করছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, জাল অনেক দূর ছড়িয়ে। সঠিক তদন্তে এবার ধরা পড়বে এমন অনেক প্রতারক। আরও পড়ুন: ‘এ রাজ্যে আমাদের কিছু হবে না’ বলতে বলতে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেলেন পাঁচ শিক্ষিকা

Next Article