কলকাতা: দ্রুত পোস্টমর্টেম করিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। টাকা জোগাড় করতে না পারায় সেই দেহ একদিন ধরে পড়ে রইল মোমিনপুর কাটাপুকুরে। এমনই অভিযোগ মৃতের আত্মীয় পরিজনদের। যদিও সংবাদমাধ্যম ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর মৃতদেহ তাড়াতাড়িই তুলে দেওয়া হয় আত্মীয়দের হাতে।
গত ১৭ নভেম্বর মহেন্দ্র হেমব্রম (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সোনারপুর থানার বিদ্যাধরপুর মেসে থাকতেন তিনি। বাড়ি বাঁকুড়ার শালতোড়ায়। ঘটনার দিন তাঁর এক বন্ধু মৃণাল মহেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই হাসপাতাল থেকে সোনারপুর থানায় খবর দেওয়া হয়।
মৃণাল জানান, “থানা থেকে ২ ঘণ্টা পর একটা গাড়ি পাঠানো হয়। বলে এই গাড়িতেই দেহ নিয়ে যাওয়া হবে থানায়। তার পর সেখান থেকে ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হবে। এরপরই ওনাদের জিজ্ঞাসা করি কত টাকা ভাড়া নেবে। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বলেছিল। আমাদের হাতে টাকা ছিল না। পুলিশ সরাসরি টাকা চায়নি। কিন্তু গাড়িটা তো থানা থেকেই পাঠানো হয়েছিল। এরপর বলি ৪ হাজার টাকা দিতে পারব। আমাদের তো কিছু করার ছিল না। বডি তো নিয়ে যেতেই হবে। তবু টাকা জোগাড় করতে পারিনি বলে বৃহস্পতিবার সময় মতো দেহ নিয়ে ফিরতেও পারিনি। মোমিনপুরে ৫টার আগে আসতে হোত। তা হয়নি। সোনারপুরে ৪ হাজার টাকা দিতে গিয়ে সময় নষ্ট হয়।”
মৃণালের বক্তব্য, অনেক কষ্টে দেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মোমিনপুরে আনা হয়। কিন্তু এখানেও বিরাট টাকার অঙ্ক হেঁকে বসে লোকজন। মৃণাল জানান, “এখানে ৬ হাজার টাকা চেয়েছিল পোস্ট মর্টেমের পর দেহ দেবে বলে। আমরা বললাম এই টাকা দিতে পারব না। তখন বলল তা হলে চার হাজার টাকা দিতে। এভাবে দরাদরি করে ৩ হাজার পরে ২ হাজারে থামে। ওরা বলল টাকা দিলে তাড়াতাড়ি বডি ছাড়বে। না হলে বিকেল পাঁচটার পর দেবে। ১ হাজার টাকা দিতে হবে। পোস্টমর্টেম করে যারা তারাই টাকা চাইছিল।”
যদিও সোনারপুর থানা থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়, পুলিশ সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে যাতে কোনও রকম টাকা পয়সা কেউ না চায়। বরং তাদের দাবি, ডোম যদি টাকা চায় তা হলে তা নিয়ে পুলিশেরও কিছুই করার নেই। তা এই থানার এক্তিয়ারের মধ্যেও পড়ে না। আর গাড়ির জন্য কেউ টাকা চাইলেও তাতে থানার তো কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন: Medicine Crisis: সরকারি হাসপাতালে ওষুধে রাশ নাকি উৎসব করতে গিয়ে স্বাস্থ্যে আপোস! খোঁচা বিরোধীদের
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: বিষপানকারী সেই পাঁচ শিক্ষিকা এবার তৃণমূলে, ঘাসফুলে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামও