Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fire Crackers: সময়সীমা মাত্র ২ ঘণ্টা! ছট্ পুজোতেও কি আদৌ মানা হবে বাজি পোড়ানোর নিষেধাজ্ঞা?

Fire Crackers: রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ছট পুজোতেই কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা যাবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে।

Fire Crackers: সময়সীমা মাত্র ২ ঘণ্টা! ছট্ পুজোতেও কি আদৌ মানা হবে বাজি পোড়ানোর নিষেধাজ্ঞা?
ছট পুজোতে আতসবাজি পোড়ানোর সময়সীমা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2021 | 7:56 AM

কলকাতা: মুড়িমুড়কির মতো বাজি ফেটেছে শহর জুড়ে। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা ছিল সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও শব্দ বাজি পোড়ানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টেরও নিষেধাজ্ঞা ছিল বাজি পোড়ানোর ওপর। কিন্তু কোথায় কী! কলকাতা, সল্টলেক, হাওড়া এমনকি শহরতলিতেও যথেচ্ছ বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ।

রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ছট পুজোতেই কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা যাবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে কোন সময়ে বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময় সীমাও ধার্য করে দিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে।

কালীপুজোয় অর্থাত্ বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের কাছে বাজি ফাটানোর মোট ৪৫ টা অভিযোগ জমা পড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার সব প্রান্ত থেকেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ জমা পড়ে। রাতেই পর্ষদ জানিয়েছে, উত্তর কলকাতার আমর্হাস্ট্র স্ট্রিট থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেহালা, তিলজলা, হরিদেবপুর, পাটুলি, সোনারপুর, দমদম, লেকটাউন কসবার মতো এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে।

পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আতসবাজি বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি তা বন্ধ না করে নিরাপদ ও কম শব্দ উত্‍পন্ন করে সেই ধরনের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, কালীপুজো ও দীপাবলিতে আতসবাজি ফাটানোর গত বছরের নির্দেশ বহাল রাখার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কোভিড আবহে ২০২০ সালে রাজ্যে শব্দবাজি সহ সবরকমের আতসবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। করোনা আবহে এই রায় অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছিল।

উপকৃত হয়েছিলেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। এ বছরেও সেই নির্দেশ বহাল রাখার দাবিতে মামলা হয় আদালতে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগে পরিস্থিতি অনেকটাই ফিরেছিল। সংক্রমণের হার নেমে গিয়েছিল ১ শতাংশ। কিন্তু পুজোর চার দিনে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯৩ শতাংশ। এই পরিস্থিতি রাজ্যের প্রত্যেক জেলাতেই বৃদ্ধি পেতে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফের জারি করা হয়েছে কনটেইনমেন্ট জোন। কিন্তু এবছর যে হারে বাজি ফাটানো হল, তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যাতে বায়ু দূষণ হ্রাস পায়, তার এই বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার একাধিক নজির মিলেছে।

আরও পড়ুন: Covid Update: এক ধাক্কায় ১১ হাজার নমুনা পরীক্ষা কমল রাজ্যে, তবুও পজিটিভিটি রেট ঊর্ধ্বমুখীই