কলকাতা : পুরনিগমের ভাঁড়ারে টান, অথচ, দামি ট্যাব কিনে দেওয়া হচ্ছে মেয়র পারিষদদের। একদিকে যখন কর্মীদের বেতন সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তখন এই সিদ্ধান্ত কি খুব জরুরি ছিল? সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সেই ইস্যুতে জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কথা টেনে আনলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ট্যাব বির্তকে সাফাই দিতে গিয়ে ফিরহাদের দাবি, জ্যোতি বসু তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিকীকরণ করেননি। আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যে কীভাবে মেয়র পারিষদদের জন্য ট্যাব কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী কাউন্সিলররা। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বললেন, ‘আমি আধুনিকীকরণের বিরোধিতা করতে পারি না। যে ভুলটা জ্যোতিবাবু করে গিয়েছেন, কম্পিউটার ঢুকতে দেব না বলে, সেই ভুলটা করলে আমাদেরই ক্ষতি হবে।’ তাঁর দাবি, আধুনিকীকরণের জন্য সারা বছর যত কাগজ পোড়ে, তার তুলনায় একবার একটা কম্পিউটার কিনলে অনেক বেশি সাশ্রয় হবে। এককালীন খরচ কিন্তু অনেকটা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যেমন বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের দাম বেশি, কিন্তু একবার কিনলে পেট্রোলের খরচটা কম হবে বলেই আমরা বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের কথা বলছি। অনেকে বলবে এই সময় খরচ বাড়ানো হল, কিন্তু এটা খরচ বাড়ানো নয়। আমাকে তো খেতেও হবে। আমার কাছে টাকার অভাব রয়েছে মানে আমি খাওয়া বন্ধ করে দেব, পড়া বন্ধ করে দেব, তা হয় না। আজকের দিনে কম্পিউটার একটা আবশ্যক জিনিস। যেহেতু আমরা এখন সব ই-সার্ভিসের দিকে যাচ্ছি, তাই আমরা চাইছি আমাদের সব মেয়র পারিষদরা ই-সার্ভিসের আওতায় আসুক।’
প্রত্যেক দিন মেয়র পারিষদদের যে কাজ করতে হয়, তা পেপারলেস করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই আধুনিকীকরণের দিকে যেতেই হবে। তাতেও কেউ সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলে, কী করে ল্যাপটপ কেনা হল? তাহলে কী করে খাচ্ছ? কী করে অন্য কাজ হচ্ছে?’ তিনি নিজে অবশ্য সরকারের কাছ থেকে ট্যাব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder: ভাইকে খুন করতে ভাড়াটে খুনি লাগিয়েছিল দাদাই, কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার আরও দুই