Flash Flood in Mal Bazar: মাল নদীতে নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা ছিল? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব নবান্নের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 06, 2022 | 3:53 PM

Flash Flood in Mal Bazar: মাল নদীতে হড়পা বানে আটজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাই নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Flash Flood in Mal Bazar: মাল নদীতে নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা ছিল? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব নবান্নের
দুর্ঘটনা ঘিরে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন

Follow Us

কলকাতা: বুধবার দশমীর দিন বেশির ভাগ জায়গাতেই প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য জুড়ে বিসর্জনের জন্য বরাদ্দ ঘাটগুলিতে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল। তারপরও জলপাইগুড়ির মাল নদীতে কী ভাবে এমন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার পর প্রশাসনের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার সেই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।

মাল বাজারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নবান্ন। ঘটনার সময় ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।  জেলা শাসকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। যেহেতু নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাই নিরাপত্তার কী বন্দোবস্ত ছিল, তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যসচিব।

এ ছাড়া বিসর্জন যেহেতু এখনও শেষ হয়নি, তাই জেলার বিসর্জনের ঘাটগুলো পরিদর্শনে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জন করা যাবে, তাই সে কথা ভেবে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাল বাজারের আকস্মিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রশ্ন সামনে এসেছে। সিভিল ডিফেন্সের মাত্র আটজন কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন, আর নদীর ঘাটে নেমেছিলেন হাজার খানেক মানুষ। কর্মীদের হাতে দড়ি ছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও সরঞ্জাম ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। সার্চ লাইটও ছিল না। সার্চ লাইট আনতে বেশ খানিকটা সময় গেলে যায়।

উত্তরবঙ্গে আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস ছিল, তাতে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হড়পা বান আসে মাল নদীতে। আচমকা জলের তোড়ে ভেসে যান বহু মানুষ। পরে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে।

Next Article