কলকাতা : দুর্গা পুজোর আনন্দ শেষ হতে না হতেই বিষাদের ছায়া বাংলায়। বিসর্জনের রাতেই জলের তোড়ে ভেসে মৃত্যু হল ৮ জনের। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালবাজারে হড়পা বানের জেরে যে আকস্মিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে কোনও সাহায্যের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। সেই তথ্যও প্রকাশ করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, পুলিশের সহযোগিতায় ৭০ জনকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ। আর কেউ নিখোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
An ex-gratia amount of Rs. 2 lakh will be given to the next of kin of the deceased and Rs. 50,000 to the injured.
For any assistance kindly reach out to the following helpline numbers- 03561230780 / 9073936815.
Let us stand together in these times of distress.
(3/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 6, 2022
৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মোদী। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে আহতদের দেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা করে।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল PMNRF থেকে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির দুর্গাপুজোর আনন্দোৎসবের মধ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে দু লক্ষ টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ ।আহতদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা : প্রধানমন্ত্রী @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) October 6, 2022
বুধবার রাতে মাল নদীর ধারে বিসর্জন উপলক্ষে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। নদীতে জল কম ছিল বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু আচমকাই ঘটে যায় বিপর্যয়। হঠাৎ ফুলে ফেঁপে ওঠে জল। আর সেই জলের তোড়ে ভেসে যান অনেকেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কার্যত হাবুডুবু খান তাঁরা। অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, আটজনের মৃতদেহ পাওয়া যায় ওই মাল নদী থেকে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নদীর মাঝামাঝি কী ভাবে ট্রাক চলে গেল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকবে, এমন পূর্বাভাস সত্ত্বেও কেন এত ভিড় হল? কেন বিসর্জনের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না? সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।