Governor C.V Anand Bose : মমতাকে আমন্ত্রণ, হাতেখড়ি দেবেন রাজ্যপাল
Governor C.V Anand Bose : আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন করেছিলেন বাংলায় বই লেখার। এরইমধ্যে বুধবার বাংলা শেখারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তারপর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজভবনের তরফে রাজ্যপালের হাতেখড়ির ব্যবস্থা করা হল।
কলকাতা : ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যেকমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে। জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুকতাহারে। বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।’ হাতে আর মাত্র কটা দিন। আর তারপরেই বাংলাজুড়ে সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja 2023) দিন এই মন্ত্র জপ করেই পুষ্পাঞ্জলি দিতে দেখা যাবে কচিকাঁচাদের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আমেজ। চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। সরস্বতী পুজোর দিন স্লেট আর চক হাতে বাচ্চাদের হাতেখড়ি বাঙালির খুবই চেনা ছবি। কিন্তু, এবারের সরস্বতী পুজোয় হাতেখড়ি হতে চলেছে খোদ বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor C.V Anand Bose)।
আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন করেছিলেন বাংলায় বই লেখার। এরইমধ্যে বুধবার বাংলা শেখারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তারপর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজভবনের তরফে হাতেখড়ির ব্যবস্থা করা হল। আগামী ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে হাতে খড়ি হবে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের তরফে পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্রও। ২৬ জানুয়ারি রাজভবনের ইস্ট লনে বিকাল পাঁচটায় হবে রাজ্যপালের হাতে খড়ি। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিকবার নিজের বঙ্গ প্রীতির কথাও বলতে দেখা গিয়েছিল সি ভি আনন্দ বোসকে।
এমনকী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথাও জানিয়েছিলেন। এমনকী তাঁর নিজের পদবির পিছনেও রয়েছে সেই নেতাজি। এ প্রসঙ্গে তিনি আগে বলেছিলেন, “আমার বাবা একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেখানো পথে চলতেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁর সব ছেলের নামের সঙ্গে বোস থাকবে। আমার ভাই-বোনরা সবার নামের সঙ্গে বোস রয়েছে। মোহন বোস, আনন্দ বোস, সুন্দর বোস, সুকুমার বোস, কমলা বোস, ইন্দিরা বোস।”
তাঁর জীবনে বাংলা যোগের কথাও বলতে শোনা যায় একাধিকবার। বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়েও রয়েছে আলাদা ভালবাসা। বাংলা প্রীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সঙ্গে আমার যোগ অনেকদিনের। ব্যাঙ্কার হিসেবে আমার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকেই। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় প্রবিশনারি অফিসার হিসেবে কলকাতায় শ্যামবাজার, চৌরঙ্গী, রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে কাজ করেছি। বাংলা আমার কাছে একেবারেই অপরিচিত নয়। বাংলার সংস্কৃতি, শিল্পের সঙ্গে আমি ভীষণভাবে পরিচিত।” এরইমধ্যে বুধবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা ‘এক্সাম ওয়ারিয়ার্স’ বইটি পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল। এই বইটি একাধিক ভাষায় ছাপানো হয়েছে। আমাদের রাজ্যের পূর্বাদের জন্য বাংলা হিন্দি ইংরেজি এবং উর্দু ভাষায় এই বইটি সংস্করণ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানেই বাংলা শেখার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।