কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের একাংশ ছাত্র ও অধ্যাপকদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের অঙ্গুলি হেলনে নম্বর কারচুপি হয় এই মেডিক্যাল কলেজে। এমনকী গণটোকাটুকিরও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। এবার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল রাজভবন।
গত ৯ অগস্ট আরজি করে এক জুনিয়র ডাক্তারের দেহ উদ্ধার হয়। বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তখনই রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও দাদাগিরির অভিযোগ উঠে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তার পিজিটি পড়ুয়া অভীক দে-র বিরুদ্ধে সরব হন। আবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও একাধিক অভিযোগ উঠে।
ছাত্র আন্দোলনের জেরে ডিন পদ থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ সেনগুপ্ত। তাঁর জায়গায় নতুন ডিন হয়েছেন অনুপম নাথ গুপ্তা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হন পড়ুয়ারা। নম্বর বাড়ানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোহম মণ্ডল নামে এক ইন্টার্নের নম্বর বাড়ানো হয় বলে অভিযোগ। পরীক্ষায় খাতায় নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করেও সফল না হয়ে ট্যাবুলেশনে প্রাপ্ত নম্বর মুছে দিয়ে লেটার মার্কস পাইয়ে দেওয়া হয় সোহমকে। সোহম তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। আরজি কর কাণ্ডের পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আন্দোলনের জেরে ইন্টার্নশিপ থেকে সাসপেন্ড হন সোহম।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পরীক্ষা দুর্নীতি ও তৃণমূল পরিচালিত মিডিয়া মাফিয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন রাজু বিস্তা। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেন। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। বিজেপি সাংসদের এই দাবি খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হল রাজভবনের তরফে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজু বিস্তাকে।