Tilottama: এবার তিলোত্তমার নামে হতে চলেছে হিমালয়ের একটি শৃঙ্গ? সিনিয়র ডাক্তার দিলেন তেমনই প্রস্তাব

Tilottama: এ দিন, ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি। বলেন, "তিলোত্তমা আমাদের প্রত্যেকের ভিতরের। একটা তিলোত্তমাকে নষ্ট করলে আরও কোটি কোটি তিলোত্তমা জাগবে। গত একমাস ধরে অদ্ভুদ একটা কষ্টের মধ্যে যাচ্ছি। এমন ঘটনা কোনওদিন কোনও সভ্যতার ইতিহাসে ঘটেনি। অভাবনীয় ঘটনা।"

Tilottama: এবার তিলোত্তমার নামে হতে চলেছে হিমালয়ের একটি শৃঙ্গ? সিনিয়র ডাক্তার দিলেন তেমনই প্রস্তাব
ডক্টর ইন্দ্রনীল সেনImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Sep 16, 2024 | 7:38 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: রবিবার গণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সল্টেলেক স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ভিড় করতে দেখা যায় কাতারে-কাতারে মানুষকে। শুধু তাই নয়, সেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ডাক্তাররাও। গতকালের সেই আন্দোলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের এইচওডি ডক্টর ইন্দ্রনীল সেন বলেন তিনি পর্বতারোহীদের গ্রুপে জানিয়েছেন যাতে, হিমালয়ের কোনও শৃঙ্গের নাম তিলোত্তমা দেওয়া যায়।

গতকাল আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসদের পাশে থাকতে দেখা যায় সিনিয়র এই চিকিৎসককে। দিনের শেষে শেষ কথা যে মানুষই বলেন তা আরও একবার মাইক হাতে নিয়ে বুঝিয়েদেন ডক্টর ইন্দ্রনীল। বলেন, “ন্যায়ের ইতিহাস সাধারণ মানুষ লিখেছেন। ডাক্তাররা গণআন্দোলন লিড করেছেন। শাসকশ্রেণি বরাবর সাধারণ মানুষকে ভাগ করেতে চেয়েছে। লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে একে অপরের মধ্যে। একমাত্র ডাক্তাররাই জানে মানুষের সঙ্গে মানুষের কোনও ভেদ নেই। মানুষই শেষ কথা বলে।”

এরপরই ঝাঁঝালো কণ্ঠে চিকিৎসক বলেন,” আজ তিলোত্তমা অমর হয়ে গিয়েছে। আমার পাহাড়ে যাওয়ার শখ আছে। আমাদের মাউন্টট্রেনিং কনভেশনের একটি মিটিং ছিল ধর্মতলায় । সেখানে প্রস্তাব দিয়েছি আগামী এক বছরে কোনও একটি ক্লাব থেকে হিমালয়ের ছ’হাজার মিটারের উপর কোনও শৃঙ্গ যার নাম স্থির হয়নি এখনও সেই নাম মাউন্ট তিলোত্তমা দেওয়া হবে।”

এ দিন, ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “তিলোত্তমা আমাদের প্রত্যেকের ভিতরের। একটা তিলোত্তমাকে নষ্ট করলে আরও কোটি কোটি তিলোত্তমা জাগবে। গত একমাস ধরে অদ্ভুদ একটা কষ্টের মধ্যে যাচ্ছি। এমন ঘটনা কোনওদিন কোনও সভ্যতার ইতিহাসে ঘটেনি। অভাবনীয় ঘটনা।” এরপরই জুনিয়রদের সাবধান করে ডাক্তার ইন্দ্রনীলকে বলতে শোনা যায়, “এখন তোমাদের চোখের দিকে তাকাতে যে কেউ ভয় পাবে। কোনও স্বৈরাচারী শাসকের ক্ষমতা নেই তোমাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। শাসকের সব অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। আমার আশা তোমরা লক্ষ্যে পৌঁছবে। আগুন দাবানলের মতো এগোচ্ছে। বাস্তিল দুর্গের পতন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন চেষ্টা চলবে যাতে এই আগুন ঘুরিয়ে নষ্ট করে দেওয়া যায়। খুব সতর্ক থেকো।”