কলকাতা: মা যে পার্লারে কাজ করতেন, সেই পার্লারের কাজ করত নাবালিকা। ‘কাকিমা’ বলে ডাকত তাকে। কালীপুজোর রাতে সেই কাকিমার সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানেই খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে ছেলে। গত ১৬ তারিখ হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃতরা।
জানা গিয়েছে, হরিদেবপুর থানায় গত ১৬ তারিখ একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ঘটনাটি ২৪ তারিখ, অর্থাৎ কালীপুজোর রাতের। নির্যাতিতা নাবালিকা তার পার্লারের এক সহকর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। এরপর ওই নাবালিকাকে মহিলার বছর আঠেরোর ছেলে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। একাধিকবার তার সঙ্গে এহেন আচরণ করেন বলে অভিযোগ।
নাবালিকার বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে উঠতে তার সময় লেগে গিয়েছিল অনেকটাই। পরিবারের সদস্যদেরও প্রথমে সে বিষয়টি জানাতে পারেনি। যখন জানাতে পেরেছেন, তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
গত শুক্রবার হরিদেবপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ৩২৮ খাবারে নেশার দ্রব্য মেশানো, পক্সো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁর মাকেও গ্রেফতার করা হয়।
যদিও আদালতে পেশ করার আগে ধৃত মহিলা নিজের ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আসলে ওই মেয়ে আমার ছেলেকে প্রোপোজ করেছিল। তাতে রাজি হয়নি আমার ছেলে। তাই আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।”